EXPLAINED | India`s Shortest Train Route: মাত্র ৯ মিনিটের যাত্রায় ১২৫৫ টাকার টিকিট! বড়দিনেই চিনুন দেশের ক্ষুদ্রতম ট্রেন রুট
ভারতীয় রেলওয়েজ আকারের বিচারে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম জাতীয় রেল ব্যবস্থা! যার মোট রুটের দৈর্ঘ্য ৪২ হাজার মাইলেরও বেশি। ২০২২ সালে, প্রায় ৮০০ কোটি মানুষ রেল পরিষেবা নিয়েছেন। ১৪০ কোটি টন মালবহন করেছে। ভারতীয় রেলে প্রতিদিন ১৩ হাজারের বেশি যাত্রীবাহী ট্রেন এবং ৮০০০ মালবাহী ট্রেন চলে। যা সারা দেশের ৭০০০-এর বেশি স্টেশন কভার করে।
এই জেট গতির জীবনে আজও বহু মানুষ ধীর গতিতে ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন। এবং রেলপথে ভারতীয় ল্যান্ডস্কেপে নিজেদের চোখ ডোবাতে চান, তাঁদের কাছে অনেক বিকল্প রয়েছে। তবে রেলওয়ে তার মধ্যে একটি। ভারতের পাখির চোখ যেখানে সুপারফাস্ট ট্রেনে। সেখানে ধীর গতির যাত্রা এখনও দিব্য়ি চলছে। বিবেক এক্সপ্রেস চলে দেশের দীর্ঘতম ট্রেন রুট ডিব্রুগড় থেকে কন্যাকুমারীর পর্যন্ত। এই পথ অতিক্রম করতে বিবেক এক্সপ্রেসের সময় লাগে ৭৫ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটের কাছাকাছি। প্রায় চার দিনের ট্রেন সফর বলা চলে। শুধু ভারতেরই নয়, এশিয়া মহাদেশেরও দীর্ঘতম ট্রেন রুটে চলে বিবেক এক্সপ্রেস।
আজ বড়দিন, ২৫ ডিসেম্বর, আর এই দিনেই চিনুন দেশের ক্ষুদ্রতম ট্রেন রুট। নাগপুর থেকে মহারাষ্ট্রের আজনি পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচল করে। রয়েছে বিদর্ভ এক্সপ্রেস (১২১০৬), নাগপুর-পুণে গরিব রথ (১২১১৪), নাগপুর-পুণে এক্সপ্রেস (১২১৩৬) ও সেবাগ্রাম এক্সপ্রেস (১২১৪০)। মোট ৩ কিলোমিটার পথ। সময় লাগে মাত্র ৯ মিনিট। প্রতি স্টেশনে ট্রেনটি ২ মিনিটের জন্য থামে। প্রতিদিন নাগপুর থেকে পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম এবং অন্যান্য এলাকায় যেতেই এই ট্রেন বহু মানুষের ভরসা। রীতিমতো ভিড় থাকে এই ট্রেন রুটে। অফিস ও কলেজগামীদের কাছে এই ট্রেন রুট খুবই ভরসাদায়ক।
নাগপুর থেকে আজনিগামী ট্রেনের ভাড়া কিন্তু মোটেই কম নয়, জেনারেল ক্লাস ও স্লিপার ক্লাসের ভাড়া যথাক্রমে ৬০ টাকা ও ১৪৫ থেকে ১৭৫ টাকার ভিতর। রয়েছে বাতানুকূল কামরাতেও ভ্রমণের সুযোগ। এসি-৩ টিয়ার (৫৫৫ টাকা), এসি-২ টিয়ার (৭৬০ টাকা) ও এসি-১ টিয়ার (১২৫৫ টাকা)
আপনি যদি কখনও নাগপুর ঘুরতে যান, তাহলে অনায়াসে এই ট্রেন রুটের অভিজ্ঞতা নিতেই পারেন। বলা যেতেই পারে এই স্বাদ আলাদাই হবে