Lok Sabha Election 2024 | WB: সাত দফায় বাংলায় ভোট; অধীর বললেন অনেক আগে বাহিনী চাই, কী বললেন সেলিম-সুকান্ত?
সাতদফায় বাংলা লোকসভা ভোটে নিয়ে কটাক্ষ করছে তৃণমূল। তবে বিরোধীরা এতে খুশি। এনিয়ে বিমান বসু বলেন, কিছু করার নেই। বাংলা সম্পর্কে ধারনা খুব খারাপ হয়েছে নির্বাচন কমিশনের। বাংলার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করার জন্য রাজ্যের শাসক দল যে ভূমিকা নেয় সে সম্পর্কে অবহিত হয়েই বোধহয় ওরা এটা করেছে। এটা বাংলার পক্ষে গর্বের নয়।
সাতদফায় ভোটে খুশি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, বেশি দফাতে ভোটই চেয়েছিলাম। যত রকম সন্ত্রাস এক দফাতেই করার পরিকল্পনা হয়ত তৃণমূল করেছিল। আমার মনে হয়েছে অনেক বেশি দফায় ভোট করলে অনেক বেশি মানুষকে নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে। নির্বাচন কমিশনারকে আগের দিনই বলে এসেছিলাম, শুধুমাত্র ২ দিন আগে ফোর্স দিলে মানুষের মনে নিরাপত্তা বোধ বাড়বে না। নিরাপত্তাবোধ বাড়াতে গেলে অনেক আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। কমিশনের কাছে আবার যাব। যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অনেক আগে থেকেই বাংলায় মোতায়েন করা যায়।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, গতবারও ৭ দফায় ভোট হয়েছিল। এবারও তা হচ্ছে। আশাকরি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা আরও বেশি থাকবে। কারণ প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বাংলায় ভোট সম্ভব নয়। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন কমিশানার বলেছেন মাসল পাওয়ার বন্ধ করার জন্য় যা যা ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা তিনি নেবেন।
এনিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, আইন করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনার বেছে নেবেন। সেই কাজটা তিনি করেছেন ১ দিনে। ভেবে দেখুন। এরপরই লোকসভা ভোটের সূচি তৈরি করে ফেলা হল। চাইব কমিশন নিয়ে নিরপেক্ষ থাকুক। কাউকে সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার জন্য নয়, কাউকে অসুবিধেয় ফেরার জন্য় নয়। নিরপেক্ষভাবেই কাজ করুক কমিশন।
সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, প্রথম দফায় উত্তরের কয়েকটি জেলায় যখন ভোট হয়ে যাবে তখন ইভিএমগুলোকে সংরক্ষণ করবে? কোথায় সংরক্ষিত হবে? কারণ ইতিমধ্যেই ইভিএম নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। ভোটের পর রসিদ দিক কমিশন, যাতে ভোটদাতা বুঝতে পারে ভোট কোথায় পড়েছে। আমাদের রাজ্যে যত হিস্ট্রিশিটার রয়েছে তাদের ধরার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ তারাই নির্বচনকে প্রভাবিত করে। আমরা এক দফা হলেও তৈরি। সাত দফা হলেও তৈরি আছি।