নতুন আইন পাস, কেমিক্যাল ইঞ্জেকশন দিয়ে কেড়ে নেওয়া হবে ধর্ষণকারীদের পুরুষত্ব
নিজস্ব প্রতিবেদন: ধর্ষকদের শরীর থেকে কেড়ে নেওয়া হবে পুরুষত্ব। পরে আরও কড়া শাস্তির ভাবনাচিন্তায় নতুন আইন তৈরি হতে চলেছে পাকিস্তানে। যৌন নিগ্রহ মামলায় বিচার ব্যবস্থা যত দ্রুত করা যায় সেদিকেও নজর দিতে হবে প্রসাশনকে। ধর্ষককে চিন্থিত করা হলে, করা হবে কেমিক্যাল কাসট্রেশন। পাকিস্তানে নারী নিগ্রহ বন্ধ করতে আইনমন্ত্রক কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পেশ করা হয় এই খসড়া।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই প্রস্তাবে অনুমোদন করেছেন। স্থানীয় সংবাদ সূত্রে খবর, ধর্ষণ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে মহিলা পুলিস নিয়োগ করা হবে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে নতুন আইন তৈরি করা হবে। কোনও অস্বচ্ছতা রাখা হবে না সেই আইনে। গোপন রাখা হবে ধর্ষিতার নাম ও পরিচয়।
ধর্ষককে চিহ্নিত করার পরই তার শরীরে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে এক বিশেষ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ দেহে ভরে দেওয়া হবে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুরুষত্ব হারাবে অভিযুক্ত। এই কেমিক্যাল কাসট্রেশন আইন এখন শুধু সংসদে পেশ করার অপেক্ষায়।
প্রসঙ্গত, ৭ বছরের বালিকা ও এক তরুণীর গণধর্ষণে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। জনরোষের সৃষ্টির হয়েছিল পাকিস্তানে। সমীক্ষা বলছে, পাকিস্তানে প্রতিঘণ্টায় একজন মহিলা ধর্ষিতা হন। এরপরই পাকিস্তানে যৌন নিগ্রহ রুখতে বিচার ব্যবস্থাকে কঠিন করার সিদ্ধান্তে অনড় হয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।