অটো চালকের দিনে রোজগার ৩০০ টাকা, ব্যাঙ্কে রয়েছে ৩০০ কোটি
সারা দিন খেটে ৩০০ টাকা রোজগার হয় না। কিন্তু ব্যাঙ্কে রয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। অটো চালকের এই ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স এখন পাকিস্তানের আমজনতার চর্চার বিষয় দাঁড়িয়েছে।
ভাবছেন, লটারি লেগেছে। তা হয়ত লাগেনি। কিন্তু এটা লটারির থেকেই বা কম কী?
এক দিন পাক গোয়েন্দা সংস্থা ফেডেরেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি থেকে একটি ফোন পান মহম্মদ রশিদ নামে ওই অটো চালক। তাঁকে জানানো হয়, তাঁর অ্যাকাউন্টে ৩০০ কোটি টাকা রয়েছে।
প্রথমে কেউ মসকরা করছে বলে উড়িয়ে দিলেও, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দেখে তো হাঁ। এ যে সত্যি সত্যি ভূতের রাজার বর!
কতকটা তাই। এমনই ‘ভুতুড়ে টাকা’ পাকিস্তানের আম জনতা বলা নেই কওয়া নেই ঢুকে যাচ্ছে। আর রীতিমতো হয়রানি হচ্ছেন।
যেমনটা এর আগেও হয়েছিলেন শারওয়াত জেহরা। বেশ কিছু দিন আগে রশিদের মতো তাঁর অ্যাকাউন্টে কয়েক হাজার কোটি রয়েছে বলে পাক গোয়েন্দার তরফ থেকে জানানো হয়।
ইমরান সরকার জানিয়েছে, কালো টাকার উপর নজরদারি বাড়াতেই, যে কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করা হচ্ছে ওই টাকা।
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে কালো টাকার কারবারিদের। কালো টাকা রুখতে তদন্তে নেমেছে পুলিস এবং গোয়েন্দা।