ফন্দি এঁটেছিল আগেই! করোনাকে প্লট বানিয়ে মুনাফা লুটছে চিন
নিজস্ব প্রতিবেদন: সারা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ করোনা বিশ্বমারীর দাপটে অর্থনৈতিক ভাবে জর্জরিত। চিন কিন্তু সুযোগের সদব্যবহার করেছে। করোনা মোকাবিলার অস্ত্র সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে চিন করোনা প্লটের নায়ক।
পরিস্থিতি আগেভাগে বুঝেই ফ্রন্টফুটে খেলেছে চিন। জিনপিং সরকার দেশের কোম্পানিগুলিকে সস্তায় জমি এমনকি ভর্তুকি ও ঋণ পর্যন্ত দিয়েছে। যার সুবাদে সারা বিশ্বে করোনা মোকাবিলার পণ্য রফতানিতে প্রথম সারিতে চিন।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, একেবারে গুটি সাজিয়ে মাঠে নেমেছে বেজিং। ২০১৭ সাল থেকেই নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্ট কিট তৈরি করা শুরু করেছিল তাঁরা। যা দিয়ে করোনা পরীক্ষা করা যায়। এই কিট তৈরির শিল্পকে ২০১৭ সালে "টার্গেটেড ডেভেলপমেন্ট" ইন্ড্রাস্টি বলে ঘোষণা করেছিল সে দেশের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক।
মাস্ক রফতানিতে সারা বিশ্বে ধরা ছোয়ার বাইরে চিন। যেখানে গত বছর সারা বিশ্বে মাস্ক তৈরি হয়েছিল মোট প্রায় ২ হাজার কোটি। সেখানে মার্চ থেকে মে, মাত্র ৩ মাসে ৭ হাজার কোটিরও বেশি মাস্ক রফতানি করেছে চিন। শুধু এই বছরই চিনে নতুন মাস্ক তৈরির কোম্পানি খুলেছে ৬৭ হাজারেরও বেশি।
ছক করেই বাজিমাত জিনপিং প্রশাসনের। যে চিন থেকে সারা বিশ্বে নোভেল করোনা ছড়িয়ে পড়েছে সোমবার সেখানে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা শূন্য। অর্থাৎ আগে থাকতেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার পরিকাঠামো বানিয়ে ফেলেছিল চিন। সেখানেই উঠছে প্রশ্ন তাহলে কি চিন আন্দাজ করেছিল কিছুর? নাকি স্রেফ যে কোনও মহামারী লড়ার কৌশল আপন করে নিচ্ছিল।