বাঘাযতীনের হাতে প্রতিষ্ঠা পাথুরিয়াঘাটা ব্যায়াম সমিতি, সেই থেকে চলে আসছে ‘বড়কালী’–এর কাঠামো পুজোও
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাথুরিয়া ঘাটা ব্যায়াম সমিতি। উত্তর কলকাতার সব থেকে বড় কালীপুজোর তকমা তাদেরই। এই ক্লাবের পরতে রয়েছে ঐতিহ্য, আভিজাত্যের ছোঁয়া। মহান বিপ্লবী বাঘাযতীন, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর চরণধন্য এই ক্লাব আজও মানুষের সেবায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে।
করোনা। অদৃশ্য এই শত্রুর সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছেন সকলে, পাশে দাঁড়িয়ে শক্তি যোগাচ্ছে পাথুরিয়া ঘাটা ব্যায়াম সমিতি। এলাকার মানুষের বিপদে নিরন্তর পাশে রয়েছেন তাঁরা। শুধু কি তাই! আম্পান পরবর্তী পরিস্থিতিতে বারবার তারা ছুটে যাচ্ছেন বিপর্যস্ত মানুষের কাছে। গৃহহীন, কর্মহীন, মানুষগুলোর মাথা গোঁজার ঠাঁই, দুবেলা দুমুঠো অন্নের ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা।
বিশাল এই কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছেন ক্লাবের প্রতিটি সদস্য। ইতিহাস সমৃদ্ধ এই ক্লাবের শুধু ‘বড় কালীর’ পুজো নয়, বিপদের দিনে মানব সেবার কথাও মনে রাখবে আপামর জনতা। ১৯০৮ সালে মহান বিপ্লবী বাঘাযতীনের হাত দিয়ে এই সমিতির প্রতিষ্ঠা।
১৯২৮ সালে শুরু হয় পাথুরিয়াঘাটার ‘বড় কালী’–এর পুজো। সেই কালীপুজো এবছর ৯৩তম বর্ষে পা রাখবে। পাথুরিয়াঘাটা ব্যায়াম সমিতি আদপে সেযুগে স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গোপন ঘাঁটিও ছিল বটে। এই পুজোর ঐতিহ্যে আজও ধুলো পড়েনি এতটুকু। প্রতিবছরই পালিশ চলে সেই ঐতিহ্যে।
এখনও বহু দশক প্রাচীন রীতি নিয়ম করে পালন করা হয়। মঙ্গলবার ব্যায়াম সমিতির ‘বড়কালী’–এর কাঠামো পুজো। সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় পুজো। মানা হয় সবরকমের সরকারি গাইডলাইন।