করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিকে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনই পদ্ধতি বহু রাজ্য ও দেশের
করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা তাঁর পরিবারের সদস্যরা চাইলে সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত স্থান ও পরিস্থিতি বাড়িতে আছে কিনা তা অবশ্যই যাচাই করে নেওয়া হবে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এর পরেই বহু ভুয়ো খবরের ও গুজবের ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে যে এখনও হোম কোয়ারেন্টাইন প্রযোজ্য নয়, তাও স্পষ্ট করে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশেই এই একই পদ্ধতিতে করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নিজেদের বাড়িতেই সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন-এর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে কারন জানেন?
বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা পজিটিভ ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন অথচ এখনও রোগের লক্ষণ বা পজিটিভ রেজাল্ট আসেনি এমন ব্যক্তি কোয়ারেন্টাইন-এ থাকবেন। অর্থাৎ সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলা এবং নজরদারিতে থাকা।
খোদ রাজধানী দিল্লি ও অন্যান্য বহু রাজ্যেই করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের বহু আগে থেকেই বিশেষ ক্ষেত্রে হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপরের চিত্রটি দিল্লির কোনও আবাসনের নিচের নোটিস। এভাবে বিভিন্ন দেশেই এক্ষেত্রে স্থান সংকুলানের অভাবে বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইন-এ থাকার পরামর্শ দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ইত্যাদি করোনা বিধ্বস্ত দেশেও এই পদ্ধতিতেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোর চাপ হ্রাস করা হয়েছে।
এর প্রধান কারণ বলা যেতে পারে স্থানের অভাব। একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেও এক সম্ভাব্য রোগীর সঙ্গে অপর সম্ভাব্য রোগের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। সে ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ সম্ভাব্য রোগীর জন্য প্রয়োজন বিশাল জায়গা।
বিভিন্ন দেশে এসকল ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম ইত্যাদিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও যে ক্ষেত্রে সম্ভব তাদের সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের মত বিপুল জনঘনত্বের দেশে কোন জনবহুল জায়গায় স্কুল বা জিমন্যাশিয়ামে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা অসম্ভব। রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করতে গিয়ে স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে আধিকারিকদের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন এর ক্ষেত্রেও মেনে চলতে হবে কড়া নিয়ম। পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে পরস্পরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সেইসঙ্গে সরকারি তরফে প্রয়োজন কড়া নজরদারি এবং টেস্টিং।
কোনভাবেই এই ব্যক্তিরা যাতে বাড়ির বাইরে কারো সংস্পর্শে না আসেন সেই দিকে নজর দিতে হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে চিকিৎসকদের সঙ্গে।
কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন-এর পার্থক্য কি? করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন এবং সংক্রমনের সম্ভাবনা আছে এমন ব্যক্তিকে আলাদা কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নীতিকে কোয়ারেন্টাইন বলে। কোয়ারেন্টাইন-এ থাকা ব্যক্তির যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ থাকবেই এমন কোনও মানে নেই। তিনি বাড়িতেও স্বেচ্ছায়
অন্যদিকে করোনা পজিটিভ ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ আলাদা রাখার পদ্ধতিকে আইসোলেশন বলে।