পেট্রোল-ডিজেলের খরচ কমাতে গাড়ির ইঞ্জিন বদলের পরিকল্পনা মোদী সরকারের
আগামী বছরের শুরুতেই লোকসভার ভোট। তার আগে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জেরে মধ্যবিত্তমহলে তৈরি হয়েছে উষ্মা। মাঠে নেমেছে বিরোধীরাও। ফলে চাপে রয়েছে কেন্দ্র। পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি থেকে আম আদমিকে স্বস্তি দিতে নয়া পরিকল্পনা করেছে মোদী সরকার।
কী সেই পরিকল্পনা? আসলে জ্বালানিচালিত গাড়িকে ইলেকট্রিক যানে রূপান্তরিত করার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রকের একটি নির্দেশিকায় মোটর যান আইন ১৯৮৯ -এ সংশোধনের উল্লেখ রয়েছে। এর ফলে বর্তমান যানে ইলেকট্রকি বা হাইব্রিড ব্যবস্থায় পরিবর্তনের অনুমোদন মিলতে পারে।
যান থেকে দূষণ কমাতে চাইছে সরকার। উল্লেখ্য, পেট্রোল-ডিজেল গাড়িতে হাইব্রিড সিস্টেম লাগানো হলে খরচ কমবে ৫০ শতাংশ।
নোটিফিকেশন অনুযায়ী যানকে ভাগ করা হয়েছে তিনটি শ্রেণিতে । প্রথমে শ্রেণিতে যাত্রিবাহী গাড়ি, ছোট গাড়ি ও ৩৫০০ কিলোগ্রামের কম ওজনের গাড়ি রয়েছে। এই ধরনের গাড়িতে হাইব্রিড সিস্টেম লাগানো যেতে পারে।
দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৩৫০০ কিলোগ্রামের বেশি ওজনের গাড়িতে হাইব্রিড সিস্টেম লাগানো যেতে পারে।
তৃতীয় শ্রেণিতে গাড়িকে ইলেকট্রিক যানে রূপান্তিত করা হয়। পেট্রোল ও ডিজেল ইঞ্জিনের পরিবর্তনে লাগানো হয় ইলেকট্রিক ইঞ্জিন।
কে ইঞ্জিন বদল করবে? গাড়ির ইন্টারনাল কম্বশন ইঞ্জিনকে হাইব্রিড ও ইলেকট্রিক ইঞ্জিনে বদল করবে স্বীকৃত সংস্থা থাকবে। তাদের অনুমোদন দেবে ভারত সরকার।
দাম কত পড়বে? গাড়ি অনুযায়ী দামের ফারাক রয়েছে। হ্যাচব্যাক বা ছোট গাড়িতে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন লাগানোর খরচ পড়তে পারে আনুমানিক ৮০,০০০ টাকা। ডিজেল ও সেডানে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম পড়তে পারে।
নির্দেশিকাটি অবশ্য এখনও পাশ হয়নি। এটি এখনও ভাবনাচিন্তার স্তরেই রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এনিয়ে সামনের দিনে অগ্রসর হতে পারে সরকার।