টানা ১৭ দিন ধরে বাড়ছে তেলের দাম, নমোকে ভার্চুয়াল অ্যাটাকে তৃণমূল
টানা ১৭ দিন ধরে বেড়ে চলেছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। মঙ্গলবার পেট্রোলে বাড়াল লিটারে ২০ পয়সা ও ডিজেলের দাম বাড়ল ৫৫ পয়সা। দিল্লিতে দুই জ্বালানীর দাম এখন প্রায় একই। এনিয়ে কেন্দ্রকে ভার্চুয়াল অ্যাটাক করলেন পার্থ চ্যাটার্জি থেকে ডেকের, অভিষেক থেকে চন্দ্রিমা। সকালেই অভিষেক টুইট করেন, করোনা নিয়ে গোটা দেশের মানুষ সাংঘাতিক কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। এই অবস্থায় মোদীজি ঠিক করেছেন তেলের ওপরে সীমাছাড়া কর চাপাতে। তেলের দাম বাড়ছে আর তার ভার সাধারণ মানুষের ওপরে পড়ছে।
তেলের দাম বাড়া নিয়ে সরব হয়েছেন পার্থ চ্যাটার্জিও। টুইটারে তিনি লেখেন, পরিকল্পনা করে দেশের মানুষের ওপরে ফের একটা যন্ত্রণা চাপিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।২০১৪ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত পেট্রোলে কর চাপানো হয়েছে, ২৪৭.৮৯ শতাংশ ও ডিজেলে চাপানো হয়েছে ৭৯৪.১০ শতাংশ। আপনি ঠিকই পড়ছেন। কিন্তু মোদীজির এতে পরোয়া নেই।
করোনার সংক্রমণের ফলে দেশজুড়ে মানুষ ভয়ানক আর্থিক কষ্টে রয়েছেন। যেখানে অপরিশোধিত তেলের দাম এখন কম সেখানে মোদীজি সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তেলের ওপরে রেকর্ড কর চাপিয়ে দিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই টুইট রিটুইট করেছেন ডেরেক ওব্রায়েন। তিনি লিখেছেন, টানা ১৭ দিন ধরে বাড়াল তেলের দাম।
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের টুইট, করোনার সঙ্গে লড়ছি, এই গগণচুম্বী তেলের দামের সঙ্গে দেশবাসী লড়াই করবে কীভাবে! এরকম এক অতিমারীর সময় সাধারণ মানুষকে রিলিফ দিতে ব্যার্থ কেন্দ্র। অত্যন্ত লজ্জাজনক ব্যাপার।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য টুইট করেন, করোনা সংকট চলছে, সরকার ব্যার্থ। ভারত-চিন উত্তেজনা চলছে, সরকার সারেন্ডার করেছে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়েছে, রেডিয়ো নীরব। মোদীদি আপনার এই কেয়ার করার ধরন আমাদের ভয় পাইয়ে দিচ্ছে।
দীনেশ ত্রিবেদী লেখেন, এই সংকটের সময়ে সাধরণ মানুষের ওপরে কেন্দ্রের কতটা দরদা তা একেবারে স্পষ্ট। অপরিশোধিত তেলের দাম কম, কিন্তু সরকারের করের বোঝা বিপুল। সাধারণ মানুষ শেষ হয়ে যাবে।