বাহ! ক্যা সিন হ্যায়, ব্রিগেড দেখে তোপ মোদীর
ব্রিগেডে বিরোধীদের একমঞ্চে এনে সভা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চ থেকে উঠছে মোদী হঠানোর ডাক। সিলভাসা থেকে তার জবাব দিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কটাক্ষ, মোদীর বিরুদ্ধে নয়, এটা ভারতবাসীর বিরোধিতায় জোট। এখনও জোট করেনি, তার আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে দরদাম।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,''ভারতের উন্নতির লক্ষ্যে পরিকল্পনা করছি। একবিংশ শতকের শ্রেষ্ঠতম দেশ বানাব ভারতকে''।
এরপরই মোদীর হুঁশিয়ারি, যতই জোট করুক, কর্মের ফল থেকে পালাতে পারবে না। কুকর্ম ধাওয়া করছে। মোদী বিরোধী স্বার্থের রাজনীতি খবরের কাগজেই জায়গা পাবে। জনসাধারণের হৃদয়ে দেশ ধ্বংসকারীরা জায়গা পাবে না।
মোদী আরও বলেন,'' জনতার থেকে ওরা বিচ্ছিন্ন, পায়ের তলার জমি সরে গিয়েছে, তাই ব্যাকুল হয়ে ওঠেছে''।
মোদীর কথায়,''কলকাতায় ভারতীয় জনতা পার্টির একটা বিধায়ক, কিন্তু সেখানে বিজেপির হাত থেকে বাঁচার জন্য গোটা রাজ্য থেকে সবাই একজোট হয়ে গিয়েছে। ঘুম উড়ে গিয়েছে ওদের। সত্যের পথে চলি আমরা। একটা বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও ওখানে একজোট হয়েছে বিরোধীরা''। বলে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৩।
এরপরই মোদীর কটাক্ষ, 'এরা পশ্চিমবঙ্গ হোক বা কেরল জুলুমরাজ চালাচ্ছে। পশ্চিমবাংলা রাজনৈতিক দলকে কর্মসূচি করতে দেওয়া হচ্ছে না। ওই রাজ্যে গণতন্ত্রের গলা টিপে দেওয়া হয়। সেখানে একত্র হয়ে গণতন্ত্র বাঁচানোর ভাষণ দিচ্ছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হত্যার একের পর এক হত্যা হয়েছে। এটা দেখে একটাই কথা মুখে আসছে, বাহ! ক্যায় সিন হ্যায়'।
মোদী মনে করিয়ে দেন, এটা ইতিবাচক বনাম নেতিবাচক রাজনীতির লড়াই। উন্নয়নের সঙ্গে উন্নয়নবিমুখের লড়াই।
এদিন গুজরাটের সুরাটে লার্সেন অ্যান্ড টুর্বোর হাউত্জার তৈরির কারখানা উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদী। এরপর সিলভাসায় মেডিক্যাল কলেজের শিলান্যাস করেন নমো।