Post Covid : সূর্যমুখী কিশলয়, নতুন ছন্দে মাতল জীবন!
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায় : এক ঝাঁক ইচ্ছে ডানা... কিন্তু তাদের আজ উড়তে মানা নেই। বরং তারা প্রাণ খুলে গাইবে, 'আমরা নই বাঁধা নই দাসের রাজার ত্রাসের দাসত্বে...'। করোনার ত্রাস কাটিয়ে আজ তারা বাঁধনহীন। দু'বছর ঘরবন্দি পর অবশেষে নিজের মতো করে ফুটে উঠেছে, এক ঝাঁক কুঁড়ি।
বিগত দু'বছর অতিমারির কারণে বন্ধ ছিল স্কুলগুলিও। অনলাইন পড়াশোনা হয়ে উঠেছিল নিউ নরমাল। স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চারা বন্ধুদের মুখও দেখতে পেত, আওয়াজও শুনতে পেত। কিন্তু পাশাপাশি বসা হত না। টয়লেট যাওয়ার নাম করে ক্লাসে ফাঁকি দিয়ে দেখা হত না পাশের ক্লাসের বন্ধুর সঙ্গে। প্রায় দু'বছর হাতছানি দিয়েছে এরকম আরও কত মজা! কিন্তু এবছর পরিস্থিতি ফিরে এসেছে চির পরিচিত স্বাভাবিক ছন্দে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই খুলে গেল স্কুল।
বয়স ৩ থেকে ৫ বছর। রবিবার বিভিন্ন স্কুলের এক ঝাঁক কচি জড়ো হল অরুণ নার্সারি স্কুলের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। পুদুচেরির অরবিন্দ আশ্রমের মাদার নিজে দক্ষিণ কলকাতার এই স্কুলের নামকরণ করেন। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার নামেই নামকরণ হয়।
মার্ভেল কমিক্স থেকে গ্রাম বাংলা, সব চরিত্রেই প্রস্তুত তারা। কেউ সেজেছে স্পাইডার ম্যান, কেউ বাউল, কেউ আবার ফুলের কুঁড়ি। তবে সাজুগুজু করেই থেমে থাকেনি তারা। নাচ-গান-কবিতায় আসর পুরো জমে ক্ষীর।
দম থাকলে একটুকুও খুঁত খুঁজে বার করুন। পারবেনই না। কখনও স্টেজের উপর ছোট ছোট হাত-পা মেলে মায়া ছড়িয়ে দিচ্ছে, কখনও সুরের কারুকার্য, আবার কখনও কথার বাহার।
তবে খুদে বলে তাদের ছোট ভাববেন না! 'জল বাঁচাও, জীবন বাঁচাও' বার্তা দিয়ে গেল মজার ফাঁকে। এইভাবেই সব বাঁধা কাটিয়ে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হোক, খুদেরা জমিয়ে মজা নিক শৈশবের।