দুদিকে দিলীপ ঘোষ, মাঝখানে শুভেন্দুর নামে পোস্টার শ্যামবাজারে, তীব্র জল্পনা
নিজস্ব প্রতিবেদন : এতদিন ধরে জেলায় পড়ছিল পোস্টার। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বিভিন্ন জেলাতেই পোস্টার দিতে দেখা গিয়েছিল দাদার অনুগামীদের। এবার একেবারে খাস কলকাতায় পড়ল শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দাদার অনুগামীদের পোস্টার। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়, বাগবাজার, শ্যামপুকুর, বিবেকানন্দ রোড, উত্তর কলকাতার এই এলাগুলিতে এই পোস্টার পড়তে দেখা গিয়েছে।
শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে দেখা গেল, দুদিকে রয়েছে দিলীপ ঘোষের পোস্টার। আর তার মাঝখানেই শোভা পাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দাদার অনুগামীদের পোস্টার। পোস্টার সামনে আসতেই নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ফের উসকে উঠেছে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দল বদলের জল্পনা। সবমিলিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না।
শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া দাদার অনুগামীদের তরফে সেই পোস্টারে লেখা, "বিনম্রতায় হও অবনত, প্রতিবাদে ঠিক তত উদ্ধত। মধুলোভী করে ক্ষমতা মিছিল, তুমি ছুঁড়ে দাও মৌচাকে ঢিল।। দেহরক্ষীর ঘেরাটোপে ওরা, শুধু আজ গদি আগলায়। তুমিই আবার সূর্য জ্বেলেছো, সকাল আনবে বাংলায়।"
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের সমবায় সভায় দল বা দলনেত্রীর নাম নিয়ে কৌশলী বার্তা দেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন,''আমি এখনও একটা দলের প্রাথমিক সদস্য। মন্ত্রী করে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উনিও আমায় তাড়াননি। আমিও কোথাও যাইনি। নীতিবিরুদ্ধ কাজ আমি করি না। দলে মতান্তর হয়, বিভেদ হয়, তা থেকে বিচ্ছেদ। দলের নিয়ন্ত্রকরা তাড়াননি বা আমি ছাড়িনি। নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কাজ করার লোক আমরা নই।''
বৃহস্পতিবার শুভেন্দুর এই বক্তব্যের পরই তৃণমূলের তরফে তাঁকে স্বাগত জানাতে দেখা যায় সাংসদ সৌগত রায় ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারপরই আবার নতুন করে শুভেন্দুকে নিয়ে পোস্টার, তাও আবার খাস কলকাতায়! এপ্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "এসবই বিজেপির খেলা। বিজেপির লোকজনই এসব করছে। একেবারে ভিখারি দল। তাদের নিজেদের কিছু নেই। দিলীপ ঘোষকে দিয়ে ভোট আসবে না। তাই আমাদের নেতাদের ভাঙানোর চেষ্টা করছে। এসব করে লাভ হবে না।"