নমো নমো! তৃণমূলের ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের মোদী ভজনায় জল্পনা
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তারিফ করেছেন প্রশান্ত কিশোর। আদ্যন্ত নিরীহ ব্যাপার! তবে এনিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে জলঘোলা। সিপিএমের কটাক্ষ, আসলে প্রশান্ত কিশোর মোদী-মমতার মধ্যে যোগসূত্রের কাজ করছেন।
টেক্সাসে 'হাউডি মোদী' অনুষ্ঠানের পর তৃণমূলের ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর টুইট করেন,''মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের অবস্থান দুর্বল। ঠিক তখনই অত্যন্ত কৌশলী ও বিচক্ষণার পরিচয় দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। আমাদের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল সংখ্যা। এর আগে সংখ্যার এমন ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়নি। আর গণতন্ত্রে এটা গুরুত্বপূর্ণ।''
গত রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অনবাসী ভারতীয়দের 'হাউডি মোদী' অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন,''ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশের জন্য উনি অনেক কাজ করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই ওনার অগ্রাধিকার। তাই বলছি, আবকি বার ট্রাম্প সরকার।'' বলে রাখি, ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিপর্যয়ের পর প্রশান্ত কিশোরকে রণনীতিকার হিসেবে নিয়োগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত 'দিদিকে বলো' কর্মসূচিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। এমতাবস্থায় প্রশান্তের এমন মোদীস্তুতি ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।
বলে রাখি, ২০১২ সালে গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন ও ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে মোদীর রণনীতি তৈরির দায়িত্বে ছিলেন প্রশান্ত। প্রশান্তের মাথা থেকে বেরিয়েছিল 'চায়ে পে চর্চা'র মতো কর্মসূচি।
প্রশান্তের এমন মোদীস্তুতি নিয়ে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা যে কেউ করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী তো কোনও দলের নয়।
তৃণমূল অবশ্য দলীয়ভাবে এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে এটা প্রশান্তের ব্যক্তিগত মন্তব্য বলেই মনে করছে তারা। বামেরা অবশ্য অভিযোগ করেছে, আদতে প্রশান্ত কিশোর মোদী-মমতার সংযোগসূত্র।