মেলালেন মোদী! ভোটের আগেই জোট, মমতা-রাহুল-কেজরি-শরদ বৈঠকে সিদ্ধান্ত
নির্বাচনের আগে নয়, বরং প্রাকনির্বাচনী জোট করতে চলেছে বিরোধীরা। দিল্লিতে শরদ পাওয়ারের বাড়িতে বৈঠকের পর এমনটাই জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার দিল্লিতে শরদ পাওয়ারের বৈঠকে বসেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ফারুখ আবদুল্লা ও চন্দ্রবাবু নাইডু। পরে ওই বৈঠকে যোগ দেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে চায় প্রদেশ কংগ্রেস। কিন্তু, প্রদেশ নেতৃত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই সকালের পর সন্ধেয় বৈঠকে হাজির হলেন রাহুল।
সূত্রের খবর, প্রাকনির্বাচনী সমঝোতা ও অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সে কথা নিশ্চিত করেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''খুব ভাল ও ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। দেশকে বাঁচাতে একসঙ্গে লড়াই করব। প্রাকবনির্বাচনী জোটও করা হবে। সবাই মিলে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি করা হবে। নির্বাচনের আগে ১৫ দিন অন্তর বৈঠক করব''।
রাহুল গান্ধীর কথায়,''বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। মূল লক্ষ্য, প্রতিষ্ঠান ধ্বংসকারী আরএসএস, মোদী ও বিজেপিকে হঠানো। অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি তৈরি হবে। সবাই মিলে কাজ করব''।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকেও দেখা গেল রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। কেজরিওয়ালের কথায়, ''বিরোধীদের জোট চায় দেশ। দেশকে পাঁচবছরে ধ্বংস করেছেন মোদী-শাহ''।
শরদ পাওয়ার জানান, প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে সরকার গড়বেন বিরোধী নেতারা। ২৬ ফেব্রুয়ারি অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি স্থির করা হবে।
লোকসভা ভোটের পর মহাজোট বলে দাবি করা হচ্ছিল প্রথমে। কিন্তু এতে বিরোধী শিবিরের উদ্দেশ্য নিয়ে উঠে গিয়েছিল প্রশ্ন। এই প্রথম প্রাকনির্বাচনী সমঝোতার কথা শোনা গেল বিরোধীদের মুখে।