মাছ খেলে ক্যানসার! কেনার আগে পরখ করে নিন
বিড়াল ও বাঙালির অদ্ভূত মিল! এই দুই প্রাণীর পাতে মাছ থাকলে মুখে চওড়া হাসি ফোটে। কিন্তু বাঙালি কি জানে, এই মাছই ভয়ঙ্কর বিপদ আনতে পারে তাদের জীবনে! এমনকী কর্কট রোগেও আক্রান্ত হতে পারেন তাঁরা।
হ্যাঁ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন বাজারে বিক্রি হওয়া অধিকাংশ মাছই নিরাপদ নয়। কিন্তু কেন?
যে সব মাছ ভিন রাজ্য থেকে এসে বাজারে বিক্রি হচ্ছে তার সিংহভাগ মাছে মেশানো হচ্ছে ফরমালিন বা অ্যামোনিয়া।
কী এই ফরমালিন? ফরমালডিহাইড এক প্রকার মৌল যার থেকে পাওয়া যায় ফরমালিন নামের এই রাসয়নিক দ্রব্যটি।
কী কাজ হয় এই ফরমালিনের?
সাধারণত প্রাণীর দেহাবশেষ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয় ফরমালিন। মৃত শরীরের কোষের পচন রোধ করে এই রাসায়নিক। সাধারণত মর্গে দেহ সংরক্ষণে ব্যবহার করা হয়।
বেশ কিছুদিন মাছ সংরক্ষণ করতে গেলে শুধু বরফ পর্যাপ্ত নয়। পচন রুখতে ফরমালিন ব্যবহার করেন মত্স কারবারিরা। তামিলনাড়ু, কেরল এমনকী ওড়িশা থেকে যে সব মাছ বাংলার বাজারে ঢুকছে, সেখানেও ফরমালিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
ফরমালিন মিশ্রত মাছ খেলে কী হতে পারে? চিকিত্সকরা বলছেন, কাশি, সর্দি, মাথা-ব্যাথ্যা এবং স্নায়ুর সমস্যাও হতে পারে। এমনকী ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত জুনে কেরল থেকে ফরমালিন মিশ্রিত ৯,৬০০ কেজি ওজনের মাছ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ৭ হাজার কেজি চিংড়ি এবং ২,৬০০ কেজি অন্যান্য প্রজাতির মাছ রয়েছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে ভাগাড় কাণ্ডের সময় বিভিন্ন বাজার থেকে ফরমালিন মিশ্রিত মাছ উদ্ধার করা হয়। সে সময় ব্যবসায়ীরা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন, ভিন রাজ্য থেকে যে সব মাছ আসছে তাতে ফরমালিন মেশানো রয়েছে। না হলে বেশি দিন মাছ সংরক্ষণ করা যাবে না।
মাছ কেনার সময় যে সব বিষয় লক্ষ্য রাখবেন-মাছের কানকো কালো হয়ে গিয়েছে কিনা দেখে নিন। চেষ্টা করুন টাটকা মাছ কেনার। মাছ কিনে নিয়ে এসে ভাল করে ধুয়ে নিন।