ফোন ধরেই স্বস্তির নিঃশ্বাস স্ত্রীর! বরাত জোরে রক্ষা চন্দ্রকোনার মঙ্গল হেমব্রমের
একটা ফোন। ফোনের ওপারের কন্ঠস্বর শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্ত্রী। না, এ কান্না সজনহারার কান্না নয়। এ কান্না স্বামীকে ফিরে পাওয়ার কান্না। বৃহস্পতিবারের জঙ্গি হামলায় বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন চন্দ্রকোণার জওয়ান মঙ্গল হেমব্রম।
আতঙ্কে মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। এখনও স্বাভাবিক হয়নি মন। ফোনে শোনা গিয়েছে স্বস্তির বার্তা, "বেঁচে আছি।" মঙ্গল হেমব্রমের স্ত্রী শুনেছেন যে বেঁচে আছেন তাঁর স্বামী।
শ্রীনগরের কর্মরত ১১৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নে যে ১২ জন জওয়ান জম্মু যাচ্ছিলেন। তারমধ্যে ১১ জনই শহিদ হয়েছেন। বেঁচে রয়েছেন একমাত্র মঙ্গল হেমব্রম।
কনভয়ের যে গাড়িতে হামলা হয়েছিল, ১১৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের ১১ জনই ছিল ওই গাড়িতে। কিন্তু মঙ্গল হেমব্রম ছিলেন অন্য গাড়িতে। তাই বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন তিনি।
৪০ দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে ফিরেছিলেন মঙ্গল হেমব্রম। চলতি মাসের ৮ তারিখ কাশ্মীরে ফিরে যান। ঘটনার দিন ক্যাম্পে ফিরছিলেন তিনি।
কিন্তু লিস্টে নাম না থাকায় অভিশপ্ত গাড়িতে উঠতে হয়নি মঙ্গলকে। ছিলেন বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত বাসের পিছনের বাসে। আর তাতেই রক্ষা।