Kolkata Doctor Rape And Murder Case: লাগাতার জেরার মধ্যে হাঁপিয়ে উঠে শেষ পর্যন্ত তদন্তকারীদের কী বলল সঞ্জয়?
যেমন, সঞ্জয় রায়ের ঠিক সেই রাতের কাজকর্মই তাক লাগাবে সকলকে! আরজি কর কাণ্ডের দিনে সেই রাতে, বা ভোররাতে ঘটনার অনেকটা আগে, এক বন্ধুর সঙ্গে সঞ্জয় গিয়েছিল যৌনপল্লিতে।
যৌনপল্লিতে সঞ্জয় নাকি শেষ পর্যন্ত কোনও যৌনকর্মীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে পারেনি। কারও সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়ে তার মেজাজ খিঁচড়ে যায়। সে বেরিয়ে আসে সেখান থেকে। তার বন্ধু যৌনপল্লিতেই থেকে যায়।
যৌনপল্লি থেকে বেরিয়েই সে কারও কাছ (তার কোনও বান্ধবীর কাছ) থেকে ফোনে নগ্ন ছবি চেয়ে পাঠায়। শুধু তাই নয়, এরপর সঞ্জয় ও তার বন্ধু ঠিক করে তারা চেতলার যৌনপল্লিতে যাবে। তাই করে। যাওয়ার পথেই সঞ্জয় এক মহিলার শ্লীলতাহানিও করে।
বোঝাই যাচ্ছে, তার মানসিক স্থিতি স্বাভাবিক ছিল না। সঞ্জয়ের রুচি নিয়েও প্রশ্ন থাকেই। কিছু কিছু ব্যাপারে সে আদ্যন্ত ডেসপারেট। তবে, যৌনতার বিষয়ে সে যে পারভার্টেড তা বলাই যায়। চেতলা থেকে ফিরে সে সেই রাতে আরজি করের সেমিনার হলে ঢোকে। এবং তার পরের ঘটনাক্রম মোটামুটি এখন জানা। সঞ্জয় পুলিসের জালে ধরা পড়েছে।
সঞ্জয় রায়কে প্রেসিডেন্সি কারেকশনালের ভিআইপি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। সেখানেই আছেন হেভিওয়েট জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো 'অভিযুক্ত'। এখান থেকেই সঞ্জয়কে চলছে টানা জেরা, দু'দফায় পলিগ্রাফ টেস্ট। আর এরই মধ্যে এসবের জেরে হা ক্লান্ত সঞ্জয় তদন্তকারীদের কাছে কাতর মিনতি জানাচ্ছে। কী নিয়ে?
'এবার একটু ঘুমোতে দিন, প্লিজ!' এখন এটাই সঞ্জয়ের কাতর আর্জি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত দু সপ্তাহ ধরে যেভাবে তাকে বারবার 'মাল্টিপল রাউন্ড অফ ইন্টারোগেশনে'র মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তাতে সে ক্লান্ত ও অবসন্ন হয়ে পড়েছে। তার একটু বিশ্রাম চাই।
তবে গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, সঞ্জয়কে বারবার বিভিন্ন রাউন্ডে জেরা করা হয়েছে ঠিকই, তবে তাকে ঘুমনোর জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। যাই হোক, সঞ্জয়ের জীবনের এক রাতের যে ঘটনাক্রম দেখা যাচ্ছে, তাতে বোধ হয় বলাই যায় যে, সঞ্জয়ের জীবন যেন ঠিক সিনেমার মতো! কী নেই সেখানে? সেক্স, ভায়োলেন্স, ক্রাইম!