Remembering Rabi Ghosh: রবির দ্যুতিতে চির-উজ্জ্বল এই সব চরিত্র...
একদিকে উৎপল দত্ত, আর একদিকে সত্যজিৎ রায়। এই দুজনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ তত্ত্বাবধানে তাঁর কেরিয়ার তরতর করে এগিয়ে যায়। রবি ঘোষ অভিনীত ছবির কথা তো বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু কয়েকটি ছবি অন্তত মনে করাই যায়, রবি ঘোষ বললেই যে ছবিগুলির কথা মনে আসবেই।
১৯৫৯ সালে অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের ‘আহবান’ ছবিতে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন রবি ঘোষ। পরে ওই বছরেই তপন সিনহার 'হাঁসুলীবাঁকের উপকথা'। তবে রবি ঘোষের ফিল্মি জীবনে তপন সিনহার 'গল্প হলেও সত্যি' আক্ষরিক অর্থেই 'গ্রেট ব্রেক থ্রু'। এই ছবিটি রবি ঘোষের নিজের জীবনেও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই ছবিতে অভিনয়ের মধ্যে দিয়েই তিনি বাংলা ছবির দর্শকের মনের মণিকোঠায় চিরতরে ঠাঁই পান।
কিন্তু যে-ছবিটি ছাড়া রবি ঘোষকে ভাবাই যায় না, বা রবি ঘোষ বললেই যে-ছবির কথা উঠবেই উঠবে সেটি হল 'গুপী গাইন বাঘা বাইন'। যদিও তার আগেই 'অভিযান' ছবিতে সত্যজিতের সঙ্গে তাঁর কাজ করা হয়ে গিয়েছে, কিন্তু এই ছবিটি যেন রবি ঘোষের জন্য তৈরি!
সত্যজিতের আর একটি ছবি-- 'অরণ্যের দিনরাত্রি', এটিতেও 'শেখর' চরিত্রে রবি দারুণ অভিনয় করেন। দারুণ অভিনয় করেন 'মহাপুরুষ' ছবিতেও।
এবং আরও একটি সত্যজি।-চলচ্চিত্র 'হীরকরাজার দেশে'। এতেও রবি ঘোষের অনন্য অভিনয়।
মেইন স্ট্রিম ছবির মধ্যেও তাঁর মুক্তখচিত অভিনয় সেলুলয়েড-বন্দি হয়ে রয়েছে যে যে ছবিতে সেগুলি হল-- মণিহার (১৯৬৬), কাল তুমি আলেয়া (১৯৬৬), বাঘিনী (১৯৬৮), বসন্ত বিলাপ (১৯৭৩)।