Rafael Nadal: `স্পেনীয় গ্ল্যাডিয়েটর` রাফার ২১টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের কাহিনী, ছবিতে দেখুন
আর্জেন্টিনার মারিয়ানো পুয়েরেতাকে হারিয়ে প্রথম গ্রান্ডস্ল্যাম ক্যাবিনেটে তুলেছিলেন রাফা। খেলার ফলাফল ৬-৭ (৬), ৬-৩, ৬-১, ৭-৫।
২০০৬ সালেও নাদাল দাপট দেখালেন। সেই ফাইনালে তাঁর কাছে হেরে গিয়েছিলেন রজার ফেডেরার। ১-৬, ৬-১, ৬-৪, ৭-৬ (৪) ব্যবধানে জিতে দ্বিতিয়বার ট্রফি হাতে তুলেছিলেন রাফা।
২০০৭ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ের পিছনে ছিল অন্য আনন্দ। কারণ কেরিয়ারের তৃতীয় গ্রান্ডস্ল্যাম জয়ের পাশাপাশি লাল মাটির কোর্টে হ্যাটট্রিক করেছিলেন স্পেনীয় রাফা। সেই ফাইনালেও রজার ফেডেরারকে হারিয়েছিলেন। খেলার ফলাফল ছিল ৬-৩, ৪-৬, ৬-৩, ৬-৪।
২০০৮ সালেও ফ্রেঞ্চ ওপেনে তিনিই শেষ কথা বলেছিলেন। 'চারে চার' করে ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ের পিছনে ছিল অন্য স্বাদ। কারণ সেই ফাইনালে রজার ফেডেরারের বিরুদ্ধে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছিলেন নাদাল। একপেশে ফাইনালের ফলাফল ৬-১, ৬-৩, ৬-০।
সেই সময় রজার ফেডেরারের বিরুদ্ধে শক্ত গাঁট হয়ে গিয়েছিলেন রাফা। ফ্রেঞ্চ ওপেনে ফেডেরারের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল। ফলে পাঁচ সেটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে এসেছিল জয়। ফলাফল ৬-৪, ৬-৪, ৬-৭ (৫), ৬-৭ (৮), ৯-৭।
ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলেডন জেতার পর ২২ বছর বয়সে জিতেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। বিপক্ষে সেই ফেডেরার। ৭-৫, ৩-৬, ৭-৬ (৩), ৩-৬, ৬-২ ব্যবধানে ফেডেরারকে হারিয়ে জিতেছিলেন রাফা।
সেই বছর আবার লাল মাটির কোর্টে দেখা গিয়েছিল রাফা রাজ। সুইডেনের রবিন সোডারলিংকে হেলায় হারিয়ে আবার ফ্রেঞ্চ ওপেন ঘরে তুলেছিলেন নাদাল। ফলাফল ৬-৪, ৬-২, ৬-৪।
মাত্র দুই বছরের ব্যাবধানে ঘাসের কোর্টে দাপট দেখিয়েছিলেন। চেক প্রজাতন্ত্রের টমাস বার্ডিচকের বিরুদ্ধে ৬-৩, ৭-৫, ৬-৪ ব্যবধানে জিতে উইম্বলডন হাতে তুলেছিলেন নাদাল।
সেই বছর ফর্মের তুঙ্গে ছিলেন রাফা। প্রথমবার ফাইনালে তাঁর সামনে ছিলেন নোভাক জকোভিচ। জোকারকে ৬-৪, ৫-৭, ৬-৪, ৬-২ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম ইউ এস ওপেন জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন নাদাল।
ফ্রেঞ্চ ওপেনে তিনি শেষ কথা বলেন সেটা আগেই দেখিয়েছিলেন নাদাল। ২০১১ সালেও আবার ফেডেরারকে হারিয়ে ট্রফি তুলে নিয়েছিলেন। ৭-৫, ৭-৬ (৩), ৫-৭, ৬-১।
২০১২ সালে জোকারকে হারিয়ে ফের একবার ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ের হ্যাটট্রিক করেছিলেন রাফা। জোকারকে ৬-৪, ৬-৩, ২-৬, ৭-৫ ব্যবধানে হারিয়ে পরিবার ও বন্ধুদের কাছে দৌড়ে গিয়েছিলেন। ফেটে পড়েছিলেন উল্লাসে।
২০০৫-০৮ পর্যন্ত চার বার ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ের স্মৃতি আবার ফিরিয়ে এনেছিলেন রাফা। ২০১৩ সালে স্বদেশীয় দাভিড ফেরারকে (৬-৩, ৬-২, ৬-৩) হেলায় হারিয়ে ট্রফি হাতে তুলে ট্রেডমার্ক পোজ দিয়েছিলেন।
২০১৩ সালে ইউ এস ওপেনের ফাইনালেও নাদালের সামেন দাঁড়াতেই পারেননি জকোভিচ। জয়ের ব্যবধান ছিল ৬-২, ৩-৬, ৬-৪, ৬-১।
২০১৪ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালেও রাজত্ব করেছিলেন নাদাল। সেই ফাইনালেও জোকার হেরে গিয়েছিলেন। ৩-৬, ৭-৫, ৬-২, ৬-৪ ব্যবধানে জিতেছিলেন স্প্যানিশ তারকা।
সেই বছর সুইস প্রতিপক্ষ স্টান ওয়ারিঙ্কাকে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিয়েছিলেন রাফা। ফলাফল ৬-২, ৬-৩, ৬-১।
সেই ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার কেভিন অ্যান্ডারসনকে ৬-৩, ৬-৩, ৬-৪ ব্যবধানে হারিয়ে তৃতীয় ইউ এস ওপেন জিতেছিলেন রাফা।
ফ্রেঞ্চ ওপেন জেতা যেন নাদালের কাছে জলভাত হয়ে গিয়েছিল। অস্ট্রিয়ার ডমিনিক থেইম সেই ফাইনালে নাদালের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি। ফলাফল ছিল ৬-৪, ৬-৩, ৬-২।
২০১৯ সালেও তাঁর কাছে আবার হেরেছিলেন অস্ট্রিয়ার ডমিনিক থেইম। ৬-৩, ৫-৭, ৬-১, ৬-১ ব্যবধানে জিতে ট্রফি হাতে তুলেছিলেন রাফা।
সেই ফাইনালে নাদালের পাওয়ার টেনিসের কাছে হেরে গিয়েছিলেন রাশিয়ার ড্যানিল মেদভেদেভ। ফলাফল ছিল ৭-৫, ৬-৩, ৫-৭, ৪-৬, ৬-৪।
২০২০ সালে কোভিড সবে থাবা বসাতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে জোকারকে ৬-০, ৬-২, ৭-৫ ব্যবধানে উড়িয়ে ১৩তম ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছিলেন নাদাল।
পরপর দুই সেট হেরেও রড লেভার এরিনায় দুরন্ত কামব্যাক করেছিলেন রাফা। ফলে এই মেগা ফাইনালে হারতে হয় ড্যানিল মেদভেদেভকে। খেলার ফলাফল ২-৬, ৬-৭ (৫-৭), ৬-৪, ৬-৪, ৭-৫।