ভিনধর্মে ভালোবাসার `শাস্তি` মৃত্যু, রাহুলের মিষ্টিমুখ দেখেও মায়া হল না!
নিজস্ব প্রতিবেদন:বোনের সঙ্গে মেলামেশা না-পসন্দ। আর সেই আক্রোশেই প্রতিবেশী তরুণকে ডেকে এনে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। দিল্লির আদর্শনগরের ঘটনায় তোলপাড় রাজধানী। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার মহিলার ভাই-সহ ৫। অভিযুক্ত হলেন মনওয়ার হুসেন ও মহম্মদ রাজ হাসান। বাকি ৩ অভিযুক্ত নাবালক। পরিবারকে এককালীন দশ লক্ষ টাকা সাহায্য ঘোষণা করেছে কেজরি সরকার।
পাশের পাড়ারই ভিনধর্মের এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল রাহুলের। কলেজের পড়াশোনা দেখিয়েও দিতেন তাঁকে। সম্ভবত সেটাই মেনে নিতে পারেনি তরুণীর পরিবারের লোকজন। ৭ অক্টোবর সন্ধেবেলা টিউশনের কথা বলে রাহুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখাও গিয়েছে সেই ছবি। এরপর হঠাৎই বাড়ি খবর আসে রাহুলকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। ছুটে যান রাহুলের কাকা।
বাড়িতে আসার পর থেকেই শরীর খারাপ হতে শুরু করে। পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। ক্রমশ অসাড় হয়ে হয়ে যেতে থাকে শরীর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রাহুল।
রাহুল স্নাতকস্তরে কলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পড়াশুনোর ফাঁকেই টিউশনি করতেন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোকে পাথর মা।
রাহুলের পরিজনদের অভিযোগ, ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। কিন্তু মেয়েটির পরিবার পছন্দ করত না রাহুলকে। সে কারণেই তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়।
ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনীতি। দলিতদের প্রতি আপ সরকার নিছকই কুম্ভিরাশ্রু ঝরায় বলে তোপ বিজেপির। উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া অবশ্য এই অভিযোগের কোনও জবাবই দেননি। পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু গোটা ঘটনায় থেকে যাচ্ছে একটাই প্রশ্ন। সম্পর্কে অমত তো থাকতেই পারে। কিন্তু,তার জেরে কি কেড়ে নেওয়া যেতে পারে প্রাণ?