সেপ্টেম্বরের শেষে নাগাড়ে বৃষ্টিতে পণ্ড হতে পারে পুজোর বাজার
আশঙ্কাই সত্যি হল। আষাঢ়ের ধার আশ্বিনে শোধ করার পরিকল্পনা করেছে বর্ষা। সেপ্টেম্বরের শেষে নাগাড়ে বৃষ্টিতে পণ্ড হতে পারে পুজোবাজার।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে তেমন আশঙ্কাই দেখা দিয়েছে। বলে রাখি, এবার শারদোৎসবের ষষ্ঠী ৪ অক্টোবর।
সেপ্টেম্বরেই হাওয়ায় পুজো পুজো গন্ধ। ভিড় এড়াতে ইতিমধ্যেই দোকান-পসারে হানা দিতে শুরু করেছেন ফ্যাশনদুরস্তরা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস চিন্তার ভাঁজ ফেলবে তাদের কপালে। আবহাওয়া দফতরের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস অনুসারে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে নাগাড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে।
সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে কমতে থাকে বর্ষার প্রকোপ। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের শেষে পাকাপাকিভাবে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ে মৌসুমি বায়ু।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুসারে এবার ১৫ সেপ্টেম্বরের পরেও জারি থাকবে বৃষ্টিপাত। ১৩ -১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭ দিনে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাত হবে স্বাভাবিকের থেকে ৩৪ শতাংশ বেশি। এই সময়ে দক্ষিণবঙ্গে গড় বৃষ্টি হয় ৬৩.৮ মিলিমিটার। সেখানে বৃষ্টি হতে পারে প্রায় ৮৬ মিলিমিটার।
পরের সাত দিনেও ( ২০ - ২৬ সেপ্টেম্বর) জারি থাকবে বৃষ্টি। এই সময় স্বাভাবিকের থেকে ৪৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হবে। বৃষ্টিপাতের পরিমান শতাংশের হারে বাড়লেন প্রকৃত বৃষ্টিপাতের পরিমান কমবে। এই সময়ে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে প্রায় ৬৩ মিলিমিটার।
চলতি বর্ষায় প্রথম থেকেই বৃষ্টির ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌছেছিল যে ধানের বীজতলা তৈরি করতে পারছিলেন না চাষিরা। পচাতে পারছিলেন না পাট। অগাস্টে ঘাটতি কিছুটা কমলেও এখনো পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এখনো হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের মতো কৃষিপ্রধান জেলায় বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ৩৫ - ৪৫ শতাংশ। পয়লা জুন থেকে গত কাল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের মোট ঘাটতির পরিমান ২৪ শতাংশ।