ভিনগ্রহে প্রাণ আছে কিনা, বলে দেবে বৃষ্টিকণা!
এই মহাবিশ্বে অন্য কোথাও প্রাণ আছে কিনা, তা খোঁজা বোধ হয় খড়ের গাদা থেকে সুচ খোঁজার চেয়েও কঠিন।
কিন্তু আশ্চর্যের হল, কখনও কখনও এই কঠিন কাজটিই সামান্য সহজ হয়ে যেতে পারে। সহজ করে দেয় আমাদের অতি চেনা কোনও বিষয়। যেমন, ধরা যাক, সেটি যদি হয় বৃষ্টিফোঁটা!
হ্যাঁ! কোনও হেঁয়ালি নয়। Harvard-এর একটা নতুন গবেষণা বলছে, বৃষ্টিকণা যেন প্রাণ খোঁজার কাজের ক্ষেত্রে অনেকটা চুম্বকের মতো কাজ করে। কী ভাবে? যেমন, এই বৃষ্টি বলে দেয় আমাদের গ্রহের সঙ্গে অন্য গ্রহের মিল আছে। দেখা গিয়েছে, বৃহস্পতি আর পৃথিবীর বৃষ্টির গুণধর্ম প্রায় এক।
যে কোনও গ্রহের জলচক্র বিশ্লেষণ করাটা বেশ কঠিন কাজ। তবে raindrops স্টাডি করা তুলনায় সহজ। এর প্রথম ধাপ হল, দেখা, মাটিতে পৌঁছনোর আগে বৃষ্টিকণা বাষ্পীভূত হয়ে যায় কিনা! অথবা মেঘ থেকে নীচে সম্পূর্ণত এসে পড়ে কিনা!
ওই গবেষণাপত্রের প্রধান Robit Wordsworth ব্যাখ্যা করেন, আসলে এই ভাবে বৃষ্টি-কণাকে বিশ্লেষণ করে মানুষ কোনও জায়গার জলবায়ু এবং আবহাওয়া সম্বন্ধে একটা মডেল তৈরি করে নিতে পারে।
যখন কোনও গ্রহের পৃষ্ঠে বৃষ্টিকণা ঝরে পড়ে তখন দেখতে হয়, এই কণাগুলির আকার কেমন, মানে বড় না ছোট। বড় হলে দেখতে হবে তা কীসের। জলের, মিথেনের না দ্রবীভূত লৌহকণার! তার পর এর থেকে ধীরে ধীরে অন্য ধরনের বিশ্লেষণগুলি করতে হবে এবং একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর চেষ্টা করা যেতে পারে।