রাজস্থানে ধাক্কা বসুন্ধরার, জেনে নিন খারাপ ফলের ৭ কারণ
বুধ ফেরত সমীক্ষার আভাসই হয়তো সত্যি হতে চলেছে রাজস্থানে। নিজের আসনে জেতা ছাড়া দলের জন্য তেমন কিছুই করতে পারলেন না বসুন্ধরা রাজে। এখনও পর্যন্ত আসা প্রবণতা অনুযায়ী ১০১ ম্যাজিক ফিগার থেকে ৭ আসনে পিছিয়ে কংগ্রেস। বিজেপি আটকে ৮০ আসনেই। ফলে প্রবণতার কথা মাথায় রাখলে বসুন্ধরায় রাজ্যে সরকার গঠনের সম্ভাবনা একেবারে ক্ষীণ। কিন্তু কেন এমন ফল। জেনে নিন ৭ কারণ।
কৃষির বেহাল অবস্থা অনেকটাই ধাক্কা দিয়েছে বিজেপি। প্রচারে এসে কংগ্রেস সভাপতি ঘোষণা করেন, ক্ষমতায় এলে ১০ দিনের মধ্যে কৃষকদের ঋণ মুকুব করা হবে। এতে অনেকটাই প্রভাবিত হয়েছে ভোটাররা। ফসলের দাম বাড়ানের ক্ষেত্রে একপ্রকার ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি।
কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে বসুন্ধরা রাজের ব্যক্তিগত আচরণ খারাপ ফলের একটা বড় কারণ। তাঁর মহারানী ইমেজ যা ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল তাও প্রভাব ফেলেছে ভোটারদের মধ্যে।
জাতপাতের রাজনীতি অনেকটাই ডুবিয়েছে বসুন্ধরাকে। বিশেষকরে এনকাউন্টারে গ্যাংস্টার আনন্দপাল সিংকে হত্যার ফলে রাজপুত ভোটের অনেকটাই বিরুদ্ধে গিয়েছে বিজেপির।
রাজ্যের একাধিক শহরে জবরদখল হঠিয়ে রাস্তা সাফ করার নির্দেশ দেন বসুন্ধরা। একে বহু মন্দির ভাঙা পড়ে বা সরিয়ে নিতে হয়। এতে ক্ষুব্ধ ছিলেন বহু মানুষ। এটিও কাজ করেছে বসুন্ধরার বিপক্ষে।
মনে করা হচ্ছে শেষদিকে বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছিল আরএসএস। ভোটের প্রচারে আরএসএস তাঁকে সাহায্য করেনি বলেই মনে করা হচ্ছে।
বসুন্ধরার ভরডুবির আরও একটা কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে দলীয় কোন্দলকে। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তাঁর যোগযোগ ততটা মজবুত ছিল না বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল। বিশেষ করে রাজ্য বিজেপির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেল তাঁর সঙ্গে সংঘাতের সৃষ্টি হয়।
কুড়ি বছর অন্তর রাজস্থানে সরকার বদলের একটা অলিখিত পরম্পরা রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান বিরোধী একটা হাওয়াও কাজ করেছে বসুন্ধরার বিরুদ্ধে।