অবশেষে কড়া সিদ্ধান্ত, উপ মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে বরখাস্ত সচিন পাইলট
দিল্লি কংগ্রেস বারবারই বলছিল, দরজা খোলা রয়েছে। আলোচনায় বসুন। কিন্তু তাতে কান দেননি বাগি সচিন। পাশাপাশি, রাজস্থান কংগ্রেসের ভেতরে দাবি উঠছিল সচিনের বিরুদ্ধে জোরাল পদক্ষেপ না করলে দলে তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সেরকমই সিদ্ধান্ত নিল দল।
মঙ্গলবার রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সচিন পাইলটকে বরখাস্ত করল রাজ্য কংগ্রেস। রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে রমেশ মীনা ও বিশ্বেন্দ্রে সিংকে। এরা দুজনই সচিনের সঙ্গে বিদ্রোহ করেছিলেন। এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তা জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীর সুরজেওয়ালা।
মঙ্গলবার সুরজেওয়ালা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, কংগ্রেস সচিন পাইলটকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করেছিল মাত্র তিরিশ বছর বয়সে। চল্লিশ বছরের সচিন রাজস্থানের উপ মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছিলেন। অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। উনি সাংসদ ছিলন, কেন্দ্রের মন্ত্রী ছিলেন, রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতিও ছিলেন। খুবই খারাপ লাগছে যে সচিন ও তাঁর কয়েকজন অনুগামী বিজেপির ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
বরখাস্ত হওয়ার পর সচিন টুইট করেন, সত্যিটা সুখকর না হতে পারে তবে তাকে পারজিত করা কঠিন।
দলের সভাপতির পর থেকে সচিনকে বরখাস্ত করার পর সেই পদে আনা হয়েছে সিকার কংগ্রেসের সভাপতি গোবিন্দ সিং দোতাসরাকে।
এদিকে, সচিন ঘনিষ্ঠ নেতা বিশ্বেন্দ্র সিং ও রমেশ মীনা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সচিনের নেতৃত্ব গত ৬ বছর দলকে শক্ত করার কাজ করেছি। শুধু তাই নয় দলকে রাজ্যে ক্ষমতায় এনেছি। তার পরও সচিনকে যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না।