বিদ্রোহী বিধায়করা চাইলে ক্ষমা চেয়ে দলে ফিরতে পারেন, চাপে পড়ে পাল্টি খেলেন গেহলট!
প্রতিদিনই বদলে যাচ্ছে রাজস্থানের রাজনৈতির অঙ্ক। আস্থা ভোটের দাবি ছেড়ে বিধানসভা অধিবেশন ডাকার ব্যাপারে আদাজল খেয়ে লেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। কিন্তু সেই দাবিতে জল ঢেলে দিয়েছেন রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। এবার অন্য কথা বলছেন গেহলট।
বুধবার অশোক গেহলট জানিয়েছেন, সচিন পাইলট-সহ বিদ্রোহী বিধায়করা চাইলে কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে ক্ষমা চেয়ে দলে ফিরতে পারেন। এদিন প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির এক অনুষ্ঠানে গেহলট বলেন, যারা বিদ্রোহ করেছিলেন তাদের অবস্থা দেখেছেন! ওরা যদি দলে ফিরতে চান তাহলে ওরা কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিক। হাই কামান্ড যে সিদ্ধান্ত নেবে তা আমরা মেনে নেব।
এদিকে ৩১ জুলাই বিধানসভা অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব ফের ফিরিয়ে দিয়েছেন রাজস্থানের রাজ্যপাল। রাজ্যপাল জানতে চেয়েছিলেন অধিবেশনে কী আলোচনা হবে তা জানাক সরকার। কিন্তু গেহলট আস্থাভোটের কথা এড়িয়ে যান। আবার তিনি প্রকাশ্যে আস্থা ভোটে নেওয়ার কথাও বলে আসছিলেন। সে কথাও গোপন রাখেননি রাজ্যপাল।
অন্যদিকে, মায়াবতী জানিয়েছেন এবার কংগ্রেসকে তিনি উচিত শিক্ষা দেবেন। তাঁর ৬ বিধায়ককে ভাঙিয়ে নিয়েছিল কংগ্রেস। এবার তিনি ওইসব বিধায়ককে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তা নইলে তাঁদের দল থেকে বের করে দেওয়া হবে। আবার বসপার ৬ বিধায়কের রাজস্থান কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যাওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করছে বসপা। ফলে ক্রমশ চাপে পড়ে যাচ্ছেন গেহলট। তাঁর হাতে ১০১ জন বিধায়ক রয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন। এখন দেখা যাচ্ছে ওই বিধায়কদেরও টিকিয়ে রাখা মুসকিল।
আরও একটি কাজ করেছেন রাজস্থানের রাজ্যপাল। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান রাজভবনে হবে না। কারণ করোনা সংক্রমণের মধ্যে জমায়েত করা সমীচীন নয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা, বিধানসভা অধিবেশনের ব্যাপারে তিনি যে মোটেই আগ্রহী নন তা আরও একটি ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যপাল।
এদিকে, রাজস্থানের রাজ্যপালের ওপরে আক্রমণ জারি রেখেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্য়াটেল আজ বলেন, দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছে সত্ত্বেও বিধানসভা অধিবেশন করতে দিতে চাইছেন না। তাহলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা চাইলেও রাষ্ট্রপতি যদি সংসদের অধিবেশন বসতে না দেন তা হলে কী হবে!