করোনাকে হাতিয়ার করেই সচিন `বধের` কৌশল! আস্থা ভোটে না গিয়ে `মাস্টারস্ট্রোক` গেহলটের

Sun, 26 Jul 2020-4:41 pm,

আস্থা ভোট নয়, এবার বিধানসভা অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব দিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। রবিবার রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের কাছে এক প্রস্তাব পাঠিয়ে গেহলট জানিয়েছেন, বিধানসভার অধিবেশন ডাকা যেতে পারে ৩১ জুলাই থেকে। ওই অধিবেশনে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি সহ একাধিক পড়ে থাকা বিল নিয়ে আলোচনা হবে। প্রস্তাবটি ভেবে দেখার কথা জানিয়েছেন কলরাজ মিশ্র। নিয়ম অনুযায়ী ওই প্রস্তাবে হ্যাঁ করে দেওয়া কথা রাজ্যপালের।

কেন আস্থা ভোটের দাবি থেকে সরে এসে বিধানসভার অধিবেশন ডাকার কথা বলছেন গেহলট? রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর নতুন এই প্রস্তাবের পেছনে জটিল রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।  এখন আস্থা ভোটে জিতলেও অশোক গেহলট  স্বস্তিতে থাকতে পারবেন ৬ মাস। আবার আস্থা ভোট হলে সচিন পাইলট ও তাঁর অনুগামী ১৮ বিধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন। এরপর তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ হলেও তাদের ভোট গোনা হবে। সেক্ষেত্রে বিপাকে পড়তে পারেন গেহলট।

রাজনৈতিক মহলের ধারনা, বিধানসভা অধিবেশন ডাকার পেছনে অন্য অঙ্ক রয়েছে গেহলটের। রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার গেহলট মন্ত্রিসভার দুটি বৈঠক হয়েছে। শুক্রবারও এনিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে রাজ্যপালের তরফে তোলা কিছু প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা হয়। রাজ্যপাল প্রশ্ন তোলেন, সরকার দাবি করছে তাদের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। তাহলে আস্থা ভোটের প্রয়োজন কী। রাজ্যপালের তোলা মোট ৬টি প্রশ্ন নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনার পর নতুন করে বিধানসভার অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

বিধানসভার অধিবেশন ডাকার পেছনে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে করোনা নিয়ে একটি অর্ডিন্য়ান্স জারি করতে পারেন গেহলট। সেই অর্ডিন্য়ান্স জারির জন্য একটি ভোটাভুটি হতে পারে। এর জন্য দলে হুইপ জারি করা হবে। ওই হুইপ মানতে বাধ্য সচিন ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা। তা না মানলে প্রমাণ করে দেওয়া যাবে সচিনরা দল বিরোধী কার্ষকালাপ করছেন এবাং তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করা হবে।

এদিকে, রাজ্যপাল গেহলটের নতুন প্রস্তাব নিয়ে বিবেচনা করছেন। অধিবেশন ডাকার কথা ৩১ জুলাই। অর্থাত্ হাতে তাঁর ৪ দিন সময়। এর মধ্যেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে। 

উল্লেখ্য, আস্থা ভোটের প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। এনিয়ে শুক্রবার রাজ্যপালের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। গেহলট শিবিরের বক্তব্য ছিল, আস্থা ভোট আটকে দেওয়া আসলে বিজেপির ষড়যন্ত্র।  গেহলট বলেন, চাপে পড়ে এসব করছেন রাজ্যপাল। রাজস্থানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দেশজুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর তোড়জোড় করছে কংগ্রেস। এমনকি রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে কংগ্রেসের তরফে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজস্থান হাইকোর্টের রায়ে কিছুটা স্বস্তি পান সচিন পাইলট। এদিন আদালতের তরফে বলা হয়, বিধানসভার স্পিকার সচিন ও তাঁর অনুগামী কংগ্রেস বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেন না। যদি তা নিতে হয় তাহলে স্পিকারের সাংবিধানিক ক্ষমতার সীমা প্রথমে ঠিক করতে হবে। ওই রায়েই ধাক্কা খায় গেহলট শিবির। কারণ সচিন পাইলট ও তাঁর অনুগামীদের বিধায়কপদ খারিজের নোটিস দিয়েছিলেন স্পিকার সিপি যোশী।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link