ড্রোন-সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে রানিগঞ্জে রামনবমী
পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিল পশ্চিম বর্ধমানের পুলিস ও প্রশাসন। গত বছর আসানসোলের রানিগঞ্জে রামনবমীর মিছিল ঘিরে ব্যাপক গোলমাল হয়। তার থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার রানিগঞ্জকে মুড়ে দেওয়া হয় নিরাপত্তার চাদরে।
রবিবার সেখানে রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। গতবছর এই শোভাযাত্রা থেকেই সংঘর্ষ বাধে। আগুন জ্বলে আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বোমার আঘাতে জখম হন আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এক পুলিশ আধিকারিক।
সেই কারণে এবার সতর্ক ছিল পুলিশ প্রশাসন। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি চালানো হয়। রানিগঞ্জের ৬টি জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়।
আইন মেনে কোনও অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়নি এই শোভাযাত্রায়। মাইক , ব্যান্ড পার্টি বাজলেও বাজেনি ডিজে। রাজনৈতিক দলের নেতারাও ছিলেন অনেক সংযত। তাঁরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
শোভাযাত্রা রানিগঞ্জের এনএসবি রোড থেকে বের হয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আবার সেখানেই শেষ হয়। রানিগঞ্জের পর আসানসোল শহরে সোমবার বাইক মিছিল ও মঙ্গলবার শোভাযাত্রা রয়েছে।