Rama Navami: সামনেই রামনবমী! জেনে নিন বিশেষ কোন মন্ত্রে সংসারে আসবে সুখ, ঝরবে বিপুল সৌভাগ্য...
রামনবমীর দিনে রামমন্দিরে ভজন, কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামে ও শহরে অনেক সময়ে শোভাযাত্রাও বের করা হয়। বহু মানুষের কাছে এই উৎসবের গভীর তাৎপর্য রয়েছে। সারা ভারতে যথেষ্ট উত্সাহের সঙ্গে পালিত হলেও, রামজন্মভূমি অযোধ্যায় এই উত্সবের আলাদা মাহাত্ম্য।
রামনবমী শুক্লপক্ষে পড়ে। আগামী ২৯ মার্চ রাত ০৯.০৭ মিনিটে রামনবমী তিথি পড়ছে। তিথি শেষ হচ্ছে পরদিনে ৩০ মার্চ সকাল ১১.৩০ মিনিটে।
রামনবমীর গভীর তাৎপর্য রয়েছে। পুরাণ বলে, রমন্তে সর্বত্র ইতি রামঃ। যার অর্থ-- রাম যিনি সর্বত্র বিরাজ করেন। মহাবিশ্বের রক্ষক হলেন ভগবান বিষ্ণু। তিনি ধর্মের অধোগতি রোধ করতে অযোধ্যার রাজা দশরথের পুত্র রাম রূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
বিশ্বাস করা হয়, রামনবমীতে মর্যাদাপুরুষোত্তম রামের পুজো করলে জীবনে খ্যাতি এবং সৌভাগ্য নেমে আসে। বাড়ে সুখ ও সমৃদ্ধি। বলা হয়-- রামের উপাসনা করলে জীবনে ইতিবাচকতা বজায় থাকে, যে কোনও কাজবিনা বাধায় সম্পন্ন হয়।
তবে এজন্য বিশেষ কিছু মন্ত্র আছে। যা খুবই শক্তিশালী ও পুণ্যমন্ত্র হিসবে গৃহীত। এগুলি উচ্চারণ করলে সংসারে নেমে আসে শান্তি। ঝরে পড়ে বিপুল সৌভাগ্য।
মন্ত্রগুলি এরকম:
১) 'ওম শ্রী রামাঃ নময়ঃ'
২) 'শ্রী রাম জয় রাম জয় জয় রাম'
৩) 'ওম দশরথায় বিদমহে সীতাবল্লভয় ধীমহি, তন্নো রামাঃ প্রচোদয়াৎ'
৪) 'শ্রী রাম জয় রাম কোদণ্ড রাম'... ইত্যাদি।
শাস্ত্রবিশেষজ্ঞেরা বলে থাকেন-- এই সমস্ত মন্ত্র এবং রামনাম এমনিতেও মানুষকে ইতিবাচক করে, তাকে সদাই ঘিরে-থাকা নেতিবাচক এনার্জিবলয় নষ্ট করে। তার মনের শান্তি অক্ষুণ্ণ রাখে এবং সমস্ত উদ্বেগ ও অবসাদ দূর করে দেয়।