Rampurhat Arson: উপপ্রধান স্বামী খুনে অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট, `বিস্ফোরক` নিহত ভাদু শেখের স্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন : সোমবার সন্ধ্যায় রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে খুন হয়ে গিয়েছেন তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। তাঁর মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে রামপুরহাট। বদলার বলি হয়েছেন ৮ জন। কে বা কারা খুন করল ভাদু শেখকে? তারপর কারা-ই বা পাল্টা আগুন লাগালো বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে? তা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এরইমধ্যে স্বামী খুনের ঘটনায় 'বিস্ফোরক' দাবি করলেন নিহত ভাদু শেখের স্ত্রী।
ভাদু শেখের স্ত্রীর স্পষ্ট কথা, আততায়ীরাও তৃণমূল করত। শুধু ভাদু শেখ নয়, একবছর আগে ভাদু শেখের দাদা বাবরকেও ওরাই খুন করে। কিন্তু পুলিস কোনও তদন্ত করেনি। পুলিস নিষ্ক্রিয় হয়ে বসেছিল। ভাদু শেখের স্ত্রী বলেন, "পরশু রাতে ওরা ধমকি দিয়েছিল। পলাশসোনারা সবার বাড়ি বাড়ি ফোন করে ধমকি দেয়। ও তো বগটুই মোড়ে থাকে, কোথায় ওঠে, কোথায় বসে, কী করে, সব তো জানি। ওর উপর বোমা ফেলব। আমার স্বামী তৃণমূল করত। ওরাও তৃণমূল করত। আমার স্বামীর সাথেই থাকত। বাবরের (ভাদুর দাদা) মৃত্যুর পর থেকে ওরা আর সাথে থাকে না।"
আরও বলেন, "ওরাই বাবরকে খুন করেছিল। কিন্তু একবছর ধরে পুলিস কিচ্ছু করেনি। কেন পুলিস তদন্ত করল না? বলে যে প্রমাণ নেই! কিন্তু পুলিস কেন প্রমাণ বের করল না? ওরা দিন দিন ধমকি বাড়াতে থাকে। পুলিস কিচ্ছু করল না। দলকেও জানিয়েছিলাম। দল চেষ্টা করছিল। কিন্তু তদন্ত তো পুলিস করবে!" বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন ভাদু শেখের স্ত্রী।
তাঁর স্বামী ভাদু শেখকে যে খুন করা হতে পারে, সেই আশঙ্কা আগেই করেছিলেন স্ত্রী। কিন্তু অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও, পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। বার বারই পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত ৮টায় বগটুই মোড়ে ভাদু শেখের খুনের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, "৪ জন ২টো বাইকে করে আসে। বাইক দাঁড় করিয়েই বসে থাকা ভাদু শেখকে উদ্দেশ করে বোমা ছোঁড়ে। বোমা লাগতেই ভাদু শেখ পড়ে যান। ৩ রাউন্ড গুলিও চালায় দুষ্কৃতীরা।"