এক বউয়ের পাঁচ স্বামী, আজও ঐতিহ্য বজায় রাখছেন বুদ্ধি, রাজ্জো, সুনীতারা
নিজস্ব প্রতিবেদন: এক বউয়ের পাঁচজন স্বামী। ঠিক যেন দ্রৌপদীর গল্প। কুন্তীর এক কথায় তার পাঁচ ছেলে যুধিষ্ঠি, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব যেমন বিয়ে করেছিলেন দ্রৌপদীকে। কিন্তু জানেন কি, মহাভারতের পাতাতেই সেই রীতি শেষ হয়ে যায়নি। আজও হিমালয়ের কোলে প্রত্যন্ত গ্রামে এক উপজাতির মধ্যে চালু রয়েছে এই প্রথা।
খুব শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সেখানকার জীবনযাত্রা। ভ্রমণকারীদের কথায় সেই গ্রামের মেয়েদের দাপটই আলাদা ।
সেই প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা রজ্জো ভার্মা। যাঁর দুটি ছেলে ও ৫ জন স্বামী। গ্রামের পুরনো ঐতিহ্য বজায় রেখেছে রজ্জো। স্বামীরা প্রত্যেকেই ভাই। প্রতি রাতে রাজো কার সঙ্গে শোবে, সেটি সম্পূর্ণ রাজো সিদ্ধান্ত। এটাই ওখানকার রীতিনীতি।
৫ স্বামীর নাম সন্ত রাম, বাজ্জু, গোপাল, গুড্ডু, দীনেশ। ৫ স্বামী সন্তান নিয়ে সুখে সংসার করছেন রাজো। তাঁদের মধ্যে কোন অশান্তি নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অন্যদিকে, একইভাবে সুখে সংসার করছেন সুনীতা দেবী। তিনি অবশ্য দুই স্বামীর স্ত্রী। তার দুই স্বামীও দুই ভাই। একজন রঞ্জিত সিং অন্যজন চান্দের প্রকাশ।
সুনীতা জানিয়েছেন তিনি খুবই ভাগ্যবতী। কারণ দুজন স্বামীর স্ত্রী। তিনি আরও জানিয়েছেন একজন রান্নাতে তাকে সাহায্য করেন এবং অন্যজন বাচ্চা মানুষ করতে।
একইভাবে বুদ্ধি দেবীও বিয়ে করেছিলেন দুই ভাইকে। তার বয়স এখন প্রায় ৮০ ছুঁই ছুঁই। তার এক স্বামী মারা গিয়েছেন এবং অন্যজনের সঙ্গে এখন সংসার করছেন তিনি।
বুদ্ধি দেবী জানিয়েছেন তাদের এই ঐতিহ্য গত শতাব্দীর ধরে চলে আসছে। তাদের যে জমি রয়েছে সেই জমি ছেলেদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে তারা যখন আবার বিয়ে করেন, তখন সেই জমি তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে দান করে থাকেন। কিন্তু প্রত্যেকের ভাইয়ের যেহেতু একটি মাত্র স্ত্রী হয় তাই আলাদা করে জমি প্রত্যেকের নামে ভাগাভাগি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।