বান্ধবগড়ে বাঘের ডেরায় কী ভাবে লুকিয়ে ছিল দু`হাজার বছরের প্রাচীন শহর?
মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড়ের টালা রেঞ্জে এই ঐতিহাসিক নিদর্শন মিলেছে। অনুসন্ধান বলছে, তখন এখানে ছিল রাজা শ্রীভীমসেন, মহারাজা পথাসিরি এবং মহারাজ ভট্টদেবের আমল।
প্রচুর রক পেন্টিংয়ের নিদর্শন মিলেছে এ শহরে। এগুলি মিলেছে স্বাভাবিক ভাবেই গুহায়।
কিন্তু হলে কী হবে, আশ্চর্যের হল, ওই গুহা প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি গুহা নয়, তা পাথর কেটে তৈরি করা হয়েছে। এই শহরের এটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
তা ছাড়া এ শহরটা তৈরির পিছনে যে বেশ ভাবনাচিন্তা ছিল, তার প্রমাণ দিচ্ছে এই শহরের জলাধারগুলি। এ গুলির যে-উচ্চতা তা থেকে অনুমান, বৃষ্টির জল জমা করে রেখে তার ব্যবহার করতেও জানত মধ্যপ্রদেশের প্রাচীনতম এই শহরের বাসিন্দারা। এর থেকেই প্রমাণ মিলছে, শহরটি তার সময়ের নিরিখে রীতিমতো আধুনিক ছিল।
গত বছরই কাছাকাছি অঞ্চলে মিলেছিল ২৬টি প্রাচীন বৌদ্ধ গুম্ফা, যা খ্রিস্টপূর্ব দুই থেকে পাঁচ শতকের মধ্যে গঠিত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তার পরেও চলেছে খনন ও অনুসন্ধান। তাতেই এই শহরের অবশেষ মিলেছে বান্ধবগড়ের গভীরে।
একেবারেই যে আকাশ থেকে পড়ল এই সভ্যতার খবর, তা কিন্তু নয়। ২০২২ সালেই এই অঞ্চল থেকে কিছু প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন মিলেছিল। মিলেছিল ব্রাক্ষ্মী লিপির ২৪টি নিদর্শন। আর তখন থেকেই আরও অনুসন্ধান জারি ছিল।