বদলে যাচ্ছে চেনা কালীঘাট মন্দির চত্বর, কেমন হচ্ছে নতুন নকশা? দেখুন
দেবারতি ঘোষ- ভোল বদলাচ্ছে কালীঘাট মন্দিরের। ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হবে কালীঘাট মন্দিরের। মন্দিরের কুণ্ডুপুকুর বা দুধপুকুর এতদিন সকলের অলক্ষ্যে ছিল। নতুন নকশায় সেই পুকুর চলে আসছে মন্দিরের সংলগ্ন অঞ্চলে। ২০২১ সালের মধ্যেই কালীঘাট মন্দিরের সংস্কার সম্পূর্ণ হবে।
পুরনো হিন্দু মন্দিরের আদলে কালীঘাট মন্দির গড়ে উঠেছিল সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের আমলে। দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটক ও পুণ্যার্থী ফি বছর কালীঘাট মন্দির দর্শন করতে আসেন। এখন কালীঘাট মন্দিরের ঘিঞ্জি পরিবেশ নিয়ে অনেকদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল।
এরপরই কালীঘাট মন্দিরের নাটমন্দির, ষষ্ঠীতলা, শিবমন্দির, কৃষ্ণমন্দির ভোগ সহ আরও একাধিক কাঠামোর সংস্কার করে সেগুলি সৌন্দর্যায়নের সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বছরখানেক আগে মন্দির সৌন্দর্যায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো শুরু হয়ে গিয়েছে মন্দিরে ভাঙাচোরা কাজও।
কেমন হবে মন্দির চত্বরের নতুন নকশা? পুর ইঞ্জিনিয়রদের কথায়, এখন মন্দিরের ভিতর ও লাগোয়া জায়গায় পুজোর সামগ্রী কেনাকাটার জন্য ৮৫টি দোকান রয়েছে। নতুন নকশায় দোকানগুলি সব মন্দির চত্বরের বাইরে থাকবে। প্রতিটি দোকানের উপরে বোর্ডে লেখা থাকবে সতীপীঠের মাহাত্ম্য।
মূল মন্দির, নাটমন্দির, শিবমন্দির, কৃষ্ণমন্দির, মন্দির কমিটির অফিস ঘিরে দেওয়া হবে ৫ মিটার উচ্চতার দেওয়ল। কারুকার্য করা কাঠের উপর পিতলের নকশা দিয়ে তৈরি করা হবে প্রবেশদ্বার। প্রবেশদ্বার লাগোয়া জায়গা জুড়ে ১০ মিটার চওড়া ও ১০০ মিটার লম্বা টালির রাস্তা বানানো হবে। এখন সেখানে পিচের রাস্তা রয়েছে। টলির রাস্তার মাঝে ৫ মিটার উচ্চতার আরও একটি কাঠামো গড়ে তোলা হবে। ওই কাঠামোর মাথায় থাকবে সারি সারি বড় পিতলের ঘন্টা।