দেশের প্রথম সারির রাজনীতিবিদদের কার কতদূর পড়াশোনা, অতীতে কে কী করতেন, জেনে নিন
নরেন্দ্র মোদি- চায়ওয়ালা নামেই বিখ্যাত হয়েছেন। ভদনাগর স্টেশনে বাবার চায়ের দোকানে হাতে হাতে কাজ করতেন। ছোট থেকে সেনায় যোগ দিয়ে দেশের সেবা করতে চাইতেন। কিন্তু ভাগ্যের লিখন অন্যরকম ছিল।
মমতা বন্দোপাধ্যায়- যোগেশ চন্দ্র চৌধুরি ল কলেজ থেকে ডিগ্রি পাশ করেন। কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ড্রাসটিয়াল টেকনলজি থেকে ডক্টর অফ লেটারস পান। ১৫ বছর বয়স থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
সোনিয়া গান্ধী- ইতালির ভিসেনজার কাছে এক গ্রামে থাকতেন। রোমান ক্যাথলিক ক্রিশ্চিয়ান পরিবারে বড় হয়েছেন। কেমব্রিজ ক্যাম্পাসের এক রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন তিনি। তার পর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যাওয়া রাজীব গান্ধীর সঙ্গে দেখা হয় তাঁর।
রাহুল গান্ধী- লন্ডনের একটা ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং ফার্মে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। এর পর নিজস্ব কোম্পানি খুলেছিলেন।
স্মৃতি ইরানি- ১৯৯৮ মিস ইন্ডিয়ার ফাইনালিস্ট। কাজ করেছেন মিউজিক অ্যালবামে। তবে তিনি বিখ্যাত হয়েছেন কিউকি সাস ভি কভি বহু থি সিরিয়াল থেকে।
মায়াবতী- ইন্দরপুরী জেজে কলোনিতে শিক্ষকতা করে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। এর পর আইএএস পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন। ১৯৭৭-এ নেতা কাশী রাম তাঁর বাড়িতে যান। তার পর কেরিয়ারের পথ বদল করেন তিনি।
সুষমা স্বরাজ- সংস্কৃত ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক। এর পর সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করেন।
লালু প্রসাদ যাদব- স্নাতক পাশ করার পর বিহার ভেটেরিনারি কলেজে ক্লার্ক হিসাবে যোগ দেন। ওখানেই তাঁর দাদা পিওনের কাজ করতেন।
শশী থারুর- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেছেন। ওখানেই স্নাতক হন। ২২ বছর বয়সে পিএইচডি শেষ করেন। ইউনাইটেড নেশ হাই কমিশনারের হয়ে কাজ করেছেন তিনি।
অরুন জেটলি- হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। ১৯৯০ তে দিল্লি হাইকোর্টে সিনিয়র আইনজীবী হন।
প্রণব মুখোপাধ্যায়- ডেপুটি অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল অফিসে আপার ডিভিশন ক্লার্ক ছিলেন। এর পর বিদ্যানগর কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের লেকচারার হন। দেশের ডাক পত্রিকায় একটা সময় সাংবাদিকতাও করেছেন।
রামনাথ কোবিন্দ- কানপুর কলেজ থেকে আইন পাশ করেন। সিবিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য দিল্লি যান। তিনবারের চেষ্টায় পাস করেন। তবে আএএস-এর চাকরিতে যোগদান না করে আইন নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যান।