ফের ব্যস্ততা ফিরছে রেস্তরাঁর হেঁশেলে, নিয়মবিধি মেনেই কাজে ফিরছেন কর্মীরা
কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে খুলছে হোটেল, রেস্তরাঁ। বিশেষ নজর স্যানিটাইজেশনে। ডাইনিং হল, লবি, পার্কিংয়ে দূরত্ববিধি মেনে চলা আবশ্যিক। মাস্ক বাধ্যতামূলক। এখনই হোটেল, রেস্তোরায় বৃদ্ধ, শিশু, অন্তঃসত্ত্বাদের যাওয়া নিষেধ। ডিজিট্যাল লেনদেনে জোর। হোটেলে নো-টাচ রুম সার্ভিস।
রেস্তোরাঁয় আর আগের মতো কাচের থালা-বাটি নেই। ছুরি-কাঁটার টুংটাংও নেই। পরিবর্তে এসেছে ইউজ-অ্যান্ড-থ্রো শোলার প্লেট। ডিসপোজেবল কাটলারি! দুমাস পর দরজা খুলেছে কলকাতার রেস্তোরাঁগুলো। সরকারি গাইডলাইন মেনে চলছে অতিথি আপ্যায়ন।
কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও খুলল রেস্তোরাঁ-হোটেল। সোশ্যাল ডিসট্যান্সের নিয়ম মেনেই হেঁশেলে ফিরল ব্যস্ততা। প্রায় আড়াই মাস পর রুজি-রুটি ফেরার আশায় মালিক-কর্মচারীরা। আড়াই মাস পর ধোঁয়া উঠল উনুনে। রান্না ঘরে ফিরল চেনা হাতাখুন্তির শব্দ-মশলার গন্ধ। ঝাঁ চকচকে রেস্তোরাঁ হোক বা সাধারণ ভাতের হোটেল। সোমবার থেকে চালু সবকিছু। তবে নিয়ম মেনে-দূরত্ব রেখে।
আড়াই মাস কাজ বন্ধ থাকার পর নতুন করে শুরু। চুঁচুড়া, চন্দননগর, ভদ্রেশ্বরে খুলল বহু খাবারের দোকান। খুশি কর্মী থেকে মালিক সকলেই। লোক কম তাই আয়োজনও আগের থেকে কম। তবুও আশায় বুধ বেধে কাজে নেমে পড়েছেন কর্মীরা।
শিলিগুড়িতে রেস্তোরাঁয় কড়া সোশ্যাল ডিসট্যান্সের নিয়ম। থালার বদলে কাগজের প্লেট, থার্মাল স্ক্রিনিং, মাস্ক- মানা হচ্ছে সব কড়াকড়ি। দুর্গাপুরবাসীরাও পেয়ে গেলেন রসনা বিলাসের সুযোগ। ৫০ শতাংশ আসন নিয়েই দরজা খুলেছে শৌখিন রেস্তোঁরা। বহুদিন পর পেটপুজোর সুযোগে খুশি জনতাও।