R G Kar Doctor Death: `কাকুর ফোন পেয়েও বিশ্বাস করিনি, ওকেই বার বার ফোন করি`, আরজি করের নির্যাতিতার বিশেষ বন্ধু বললেন...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'আমরা বহুদিনের বন্ধু। এমবিবিএস পড়ার আগের থেকে চেনা আমার।' এদিন এভাবেই নির্যাতিতার স্মৃতিচারণ করছিলেন তাঁর বিশেষ বন্ধু। আরজি করের মর্মান্তিক খবর পেয়ে তিনিও সেদিন ছুটে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু বাবা-মায়ের মতোই দেখতে পাননি তিনিও।
নির্যাতিতার ওই বন্ধু আরও বলেন, 'সেদিন আর কথা হয়নি। পরের দিন হয়তো ১.৩০-২টোর পর মেসেজ করত বা ফোন করত। পরের দিন সকাল ৯টায় উঠে ফোন করি তোলেনি। একটা-দুটো ফোন করি কিন্তু রিপ্লাই আসেনি।'
স্বপ্ন দেখেছিলেন একসঙ্গে ঘর বাঁধার। কিন্তু দুঃস্বপ্নের রাত সব শেষ করে দিয়েছে এক লহমায়। এদিন বাংলার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, 'ফোন করেছিলাম, বলেছিল, এখন একটু ব্যস্ত আছি পরে কথা বলছি। খটকা লাগেনি। কারণ আইসিউ ডিউটি থাকলে এই ব্যস্ততা থাকা স্বাভাবিক।'
কিন্তু রিপ্লাই না দেওয়ায় সন্দেহ হয়নি বন্ধুর। বলেন, 'জরুরি পরিস্থিতিতে থাকলে এমনটা হতই। তাই কিছু মনে হয়নি। পরে কাকু ফোন করে আত্মহত্যার কথাটা জানায়। কারণ ওদেরও সেই তথ্যই দেওয়া হয়েছিল।'
তারঁ কথায়, নির্যাতিতার বাবার ফোন বিশ্বাসই করতে পারেননি তিনি। হাত-পা কাঁপছিল। তাই আরও দু-বার ফোন করেন বন্ধুর নম্বরে। কিন্তু ফোন বেজে যায়। তারপরে নির্যাতিতার হাসপাতালের এক সহকর্মীকে ফোন করলে তিনি বলেন, 'তোমরা তাড়াতাড়ি এস। আর কিছু বলা সম্ভব নয় এখন।'
মৃত চিকিৎসকের বিশেষ বন্ধু জানিয়েছেন, "সন্ধ্যে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে থানায় অভিযোগ করেছিলাম। জানতে পারি, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ FIR হয়েছিল। তিনজন ছেলে FIR দেখতে আসে। হুড়মুড় করে শববাহী গাড়িকে করিডর করে নিয়ে যাওয়া হয়। আমাদের সবারই অতিসক্রিয়তা মনে হয়েছিল।"