হার্ড ড্রাইভ নষ্ট করার অভিযোগ মিথ্যা, সিদ্ধার্থ এমন বলেছেন বলে মনে হয় না : রিয়া
সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে বের হওয়ার সময় ৮টি হার্ড ড্রাইভ নষ্ট করার পর তবেই রিয়া বাড়ি ছেড়েছিলেন। বুধবার CBI-এর জেরায় এমনটাই জানিয়েছেন সিদ্ধার্থ পিঠানি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বসে সম্পূর্ণ অস্বাকীর করলেন রিয়া চক্রবর্তী।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিয়া দাবি করেন, ''এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, সুশান্তের বাড়িতে কোনও হার্ড ড্রাইভ ছিল কিনা আমি জানিই না। সেই হার্ড ড্রাইভগুলোর খেয়াল রাখার জন্য বাড়িতে কেউ এসেছিলেন বলেও আমি জানা নেই, অন্তত আমি যতদিন ওখানে ছিলাম। ৮ জুন আমি সেখান থেকে চলে আসার পর সুশান্তের দিদি ওখানে ছিলেন, উনি কিছু জানতে পারেন, আমি নয়।'
এদিকে CBI-এর জেরায় রিয়ার হার্ড ড্রাইভ নষ্ট করার কথা স্বীকার করে নেন সিদ্ধার্থ পিঠানি। সেপ্রসঙ্গে রিয়া বলেন, ''আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে সিদ্ধার্থ এমন বলেছেন কিনা। এবিষয়ে ওর মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।''
এখানেই শেষ নয়, সুশান্তের বাড়ির সমস্ত কর্মীদের তিনিই বদলে দিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগও অস্বীকার করেন রিয়া চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, সিদ্ধার্থ পিঠানি, হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, নীরজ, হাউস কিপার নীরজ, রাঁধুনি দীপেশ সবাই সুশান্তেরই পরিচিত ছিলেন, তাঁর নয়। সুশান্তই তাঁদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়েছিলেন।
এখানেই শেষ নয়, তাঁর বিরুদ্ধে সুশান্তকে আয়ত্তের মধ্যে রাখা, তাঁর সমস্ত আর্থিক বিষয় নিজের দখলে রাখার অভিযোগও অস্বীকার করেন রিয়া চক্রবর্তী।
এতদিন কেন চুপ ছিলেন তিনি, এখন কেন মুখ খুলছেন, সাক্ষাৎকারে এ প্রশ্নের উত্তরে রিয়া বলেন, সুশান্ত তাঁর স্বপ্নে এসেছিলেন, তিনিই বলেছেন সত্যি কথা সবার সামনে বলো।
এখানেই শেষ নয়, সাক্ষাৎকারে সুশান্তের সঙ্গে আলাপ ও প্রেম নিয়ে নানান কথা বলেন রিয়া।
এখানেই শেষ নয়, সুশান্তের সঙ্গে কি কখনও বিয়ের কথা হয়েছিল, এ প্রসঙ্গে রিয়া বলেন ''বিয়ে নিয়ে সরাসরি কোনও কথা হয়নি। তবে আমি সবসময় ওকে বলতাম আমার একটা ছোট্ট সুশান্ত (সুশি) চাই।''
এদিকে রিয়া যে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, সুশান্তকে নিয়ে নানান কথা বলছেন, তা সবই নিজের প্রচারের জন্য এবং নিজেকে বাঁচাতে। এমনটাই দাবি করেছেন সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি।
এদিকে সিদ্ধার্থ পিঠানির বয়ানে রিয়ার ৮টি হার্ড ড্রাইভ নষ্ট করার তথ্য সামনে আসার বিষয়ে মুখ খুলেছেন সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিং। তাঁর কথায়, ''আমার মনে হয় এই মামলায় আরও খারাপ কিছু আছে। আরও বড় কোনও লোকজন এর সঙ্গে জড়িত। ''