Rinku Singh: বাবা দিনের পর দিন ছিলেন অভুক্ত! রিঙ্কুর গল্প চোখে জল আনবে, তাঁকে করতেই হবে কুর্নিশ
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রিঙ্কু সিং এ কী ইনিংস খেললেন। এখনও ঘোরের মধ্যে আইপিএল ফ্যানরা। সাধারণ থেকে সেলেব। ট্যুইটারে চোখ রাখলেই বোঝা যাবে যে, রিঙ্কুর ম্যাজিকে আচ্ছন্ন বাইশ গজ। সবার চোখে ভাসছে শুধু রিঙ্কুর ঝোড়ো ব্যাটিং। তাঁরা বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, এভাবেও কেউ ম্যাচ জেতাতে পারেন। শেষ ওভারে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে, ম্যাচ জেতানো রিঙ্কুর ওপরেই ফোকাস। তবে একটা সময়ে তাঁকে দীর্ঘ অন্ধকার টানেলের মধ্যে দিয়েই যেতে হয়েছে। তারপরেই তিনি দেখেছেন আলো।
অবিশ্বাস্য ম্যাচ জিতিয়ে রিঙ্কু মনে করিয়ে দিলেন যে, তাঁর বেড়ে ওঠা আর পাঁচজনের মতো নয়। রিঙ্কু বলেন, 'আমার বাবা প্রচুর লড়াই করে আমাকে মানুষ করেছেন। আমি কৃষক পরিবারের ছেলে। আজ যে ক'টি বল মাঠের বাইরে পাঠিয়েছি, প্রতিটি বলই আমি সেই মানুষগুলোকে উৎসর্গ করতে চাই, যাঁরা আমার জন্য অনেক আত্মত্যাগ করেছেন।'
কেকেআরের অফিসিয়াল ইউটিউব পেজে রিঙ্কুর একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে তিনি বলেছিলেন যে, একটা সময়ে চোটের জন্য খেলতে পারছিলেন না তিনি। যা দেখে তাঁর বাবা ২-৩ দিন কিছু খাননি। সেই সময় রিঙ্কুই ছিলেন বাড়ির একমাত্র রোজগেরে ছেলে।
ভীষণ ভাবে রিঙ্কুর একটা চাকরির দরকার ছিল। তাঁর ভাই যেখানে চাকরি করার জন্য় তাঁকে পাঠিয়ে ছিলেন, সেখানে গিয়ে রিঙ্কু শোনেন যে, তাঁকে ঝাড়ুদারের কাজ করতে হবে। রিঙ্কু বাড়ি ফিরে এসে বলেছিলেন, তিনি এরকম কোনও কাজ করবেন না। ফোকাস করবেন ক্রিকেটেই।
রিঙ্কুর বাবা একসময় বাড়ি বাড়ি এলপিজি সিলিন্ডারও ডেলিভারি করেছেন, সংসার টানার জন্য়। এত কথা আজ এজন্যই হচ্ছে, যাতে মানুষ বুঝতে পারেন যে, এই জায়গায় আসার জন্য রিঙ্কুকে কী পরিশ্রমটাই না করতে হয়েছে!
রিঙ্কুকে ২০১৮ সালে কেকেআর ৮০ লক্ষ টাকায় দলে নিয়েছিল। কিন্তু সেভাবে তিনি পারফর্ম করতে পারেননি। তারওপর ছিল চোট-আঘাতের সমস্যা। ২০২২ আইপিএলে রিঙ্কুকে মেগা নিলামে কেকেআর ৫৫ লক্ষ টাকায় নেয়। কলকাতা তাঁকে রিটেইন করে এই মরসুমের জন্য। যার মানে কেকেআরের হয়ে খেলে তাঁর আইপিএল পারিশ্রমিক ৫৫ লক্ষ টাকাই।
রিঙ্কু প্রতি বছর ৫৮.৮ লক্ষ টাকা থেকে ৬৮.৪ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন। রিঙ্কুর এখন মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৬ কোটি ১২ লক্ষ টাকার মতো। কঠোর পরিশ্রমেই রিঙ্কু লিখেছেন ভাগ্য। অভাবি পরিবারের ছেলে আজ কোটিপতি।