প্রসেনজিতের সঙ্গে প্রেম ছিল? ইঙ্গিতে কি বোঝাতে চাইলেন ঋতুপর্ণা?

Sat, 01 Dec 2018-11:01 pm,

উত্তম-সুচিত্রার সেলুলয়েড জুটিতে মজেছিলেন বাঙালি সিনেমাপ্রেমীরা। তার কয়েক দশক পরে পর্দায় আবির্ভাব হয় প্রসেনজিত্-ঋতুপর্ণার। বাঙালি সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয়ে ঠাঁই করে নেয় এই জুটি।

 

সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, সুপ্রিয়া দেবী ও মাধবীর সঙ্গে ছবি করেছিলেন উত্তম। কিন্তু অনস্ক্রিনে সুচিত্রার সঙ্গেই জমত মহানায়ককে। তাঁর সেই ভুবনভোলানো হাসি, আর সুচিত্রার গ্ল্যামার। 

দেবশ্রী থেকে কোয়েল মল্লিক-স্ক্রিনে সেই ঝড় তুলতে পারেননি প্রসেনজিত্। ঋতুপর্ণার সঙ্গেই সাবলীল ছিলেন অভিনেতা।     

পর্দার জুটির রেশ কি ব্যক্তিগত জীবনেও পড়েছিল? জি ২৪ ঘণ্টার ফেসঅফ অনুষ্ঠানে এই প্রশ্নটাই করেন এডিটর অর্নিবাণ চৌধুরী। খানিকটা এড়িয়েই যাওয়ার চেষ্টা করলেন ঋতুপর্ণা। তবে ইশারাতেই অনেক কিছু বুঝিয়ে দিলেন অভিনেত্রী।

প্রসেনজিতের সঙ্গে প্রেম ছিল আপনার? ঋতুপর্ণার জবাব, মানুষ বলে। আমি বলি না।

কখনই ভালবাসা ছিল না? ঋতুর কথায়,''ভালবাসা নিশ্চয়ই ছিল। একটা মানুষের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা, সাতদিন কাজ করেছি। আমাদের ৪৮টা ছবি। মানুষ তাঁদের মতো করে ধারণা তৈরি করে নেন''। 

পর্দার বাইরে ভালবাসা? দু'জনের একটা নির্ভরতা ছিল। একটা সখ্যতা ছিলই, জবাব ঋতুপর্ণার। 

সে তো পেশাদারি সম্পর্ক? ভালবাসা বলতে যা বুঝি, নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক। ঋতুর ইঙ্গিতপূর্ণ জবাব, সেটা রহস্যই থাক। আমি চাই। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এটা হাতড়ে যাক।   

উত্তম-সুচিত্রা পর প্রসেনজিত্-ঋতুপর্ণা, তারপর আর হিট জুটি পাইনি, কেন? ঋতু বলেন,''এটা কেন তৈরি হয়নি? এত তো সবাই বড় ব্যানারে কাজ করছে। সব ভাল ভাল জায়গায় শ্যুটিং হচ্ছে। সেই হৃদয়টা কোথায়? যে সংগ্রামটা করেছি সেটা আর নেই। এখন সবাই কমফোর্ট জোনে কাজ করে। প্রচুর পরিশ্রম করে এই জুটি হয়েছে''। 

দৃষ্টিকোণে মঞ্চে গিয়ে দাঁড়ালাম মানুষ কাঁদছে। হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকতে হবে মনে করিয়ে দেন ঋতুপর্ণা।  

প্রসেনজিতের সঙ্গে এমন হিট জুটিও ভেঙে গিয়েছিল। সম্প্রতি আবার কামব্যাক করেছেন প্রসেনজিত্-ঋতু। জুটি ভেঙে যাওয়ার পর কি শূন্যতা তৈরি হয়েছিল? ঋতুপর্ণা বলেন,'' তা বলব না। তখন নায়ক-নির্ভর ছবি হত। তারপর বিষয়টা বদলে গিয়েছে। আমার মতো করে ভাল ভাল সিনেমা করেছি। রাজা সেনের দেবীপক্ষ, সুমন মুখোপাধ্যায়ের চতুরঙ্গ করলাম। গ্ল্যামারাস ছবি তৃষ্ণা করেছি''। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link