Rohingya Refugee Camp Exclusive: `প্রাইভেটে নাইনে, লার্নিং সেন্টারে টুয়ে,` রোহিঙ্গা শিশু ফাঁস করল বেহাল শিক্ষাব্যবস্থা
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: কক্সবাজারের কুতুপালং। বিশ্বের বৃহত্তম রোহিঙ্গা রিফিউজি ক্যাম্প এখানেই। পাহাড়ের কোলে বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৬.৫ একর জমি, যা আগে রিজার্ভ ফরেস্ট ছিল, সেখানেই এখন সাড়ে ৬ লক্ষ রোহিঙ্গার বাস। বিশ্বের বৃহত্তম রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবির। সেখানেই পৌঁছে গিয়েছিল Zee ২৪ ঘণ্টা।
মোট ২৮টি ক্যাম্পে ভাগ করা হয়েছে এই পৃথিবীর বৃহত্তম এই রোহিঙ্গা রিফিউজি ক্যাম্পকে। পাহাড়ের ধাপে গড়ে তোলা হয়েছে সুবিশাল এই ক্যাম্প সাইট। একাধিক দেশের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকার সেখানে ঘর তৈরি করে দিয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের। সাহায্য করেছে রাষ্ট্রসংঘও।
কেমন সেই ক্যাম্পের বাড়ি? যাঁদের বরাত একটু ভালো, তাঁরা দরমার বাড়ি পেয়েছেন। আর যাঁদের কপাল খারাপ, তাঁদের এখনও থাকতে হয় ত্রিপলের ঘরেই। কোনও ঘরেই ফ্যান নেই। প্রচন্ড গরমের দাবদাহে ঝলসে যান আট থেকে আশি রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।
এই ক্যাম্প সাইটেই ৫ নম্বর ক্যাম্পে একটি দরমার ঘরে ৫ ছেলে-মেয়েকে নিয়ে থাকেন জাহিদ আলম। জাহিদেরই এক ছেলে জানাল, "প্রাইভেটে ক্লাস নাইনে পড়ি। আর লার্নিং সেন্টারে ক্লাস টুয়ে।" বেসরকারি-সরকারি এরকম ভিন্ন ক্লাস কেন? জিজ্ঞাসা করতেই এল অবাক করা উত্তর। জাহিদের ছেলে বলে, "লার্নিং সেন্টারে কোনও পড়াশোনা শেখায় না। ওখানে বিস্কুট দেয়, টাকা দেয়।" আর পড়াশোনা সেটা হয় টাকা দিয়ে বেসরকারিতে।
মোট ৯টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ১০০রও বেশি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করছে এই কুতুপালংয়ে। বিশ্বের বৃহত্তম এই রোহিঙ্গা রিফিউজি ক্যাম্পে ২০১৭ সালের অগাস্ট মাস থেকে আসা শুরু হয় শরণার্থীদের। আর্থিক বিষয়ে তাঁরা বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক এজেন্সির উপরই মূলত নির্ভরশীল। শিক্ষার বিশেষ সুবিধা নেই। পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে তাই চিন্তিত রোহিঙ্গা বাবা-মায়েরা।
তাঁদের দাবি, মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হোক তাঁদের। অথবা অন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। যাতে পরের প্রজন্ম শিক্ষিত হয়ে একটা স্থায়ী জীবন পেতে পারে। এখন রোহিঙ্গাদের এই দাবি নিয়ে ভারতের সহযোগিতা প্রার্থী হাসিনা সরকার। সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে আসছেন শেখ হাসিনা। মনে করা হচ্ছে, তখন আলোচনায় উঠতে পারে এই রোহিঙ্গা ইস্যু।