আরএসএস এবং নেতাজির লক্ষ্য আসলে একই? সুভাষচন্দ্রকে নিয়ে কী `অজানা` কথা মোহন ভাগবতের...
স্বভাবতই তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। গবেষকদের ব্যাখ্যা এবং নেতাজির নিজের কথা-বার্তা, লেখাপত্র, চিঠি-চাপাটি থেকে যা জানা যায়, তা হল ভাবনার দিক থেকে নেতাজি ছিলেন কঠোর ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ এক মানুষ। তা হলে এতদিন কি সকলে সেটা ভুল জেনে এসেছে?
এই সন্দেহটাই তুলে দিলেন মোহন ভাগবত। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদানের প্রশংসা করেছেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ তথা আরএসএস-এর প্রধান মোহন ভাগবত। গতকাল সোমবার নেতাজির ১২৬তম জন্মবার্ষিকীতে রেড রোডে আরএসএসের এক সমাবেশে ভাষণ দেন ভাগবত।
সেই সভায় ভাগবত বলেন, দক্ষিণপন্থী আরএসএস এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর লক্ষ্য আসলে একই ছিল! ভারতকে এক মহান জাতি হিসেবে গড়ে তোলাই এদের সাধারণ লক্ষ্য।
ভাগবত বলেন-- স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজির মূল্যবান অবদানের জন্যই যে শুধু তাঁকে আমরা স্মরণ করি, তা নয়। আমরা তাঁর গুণ আত্মস্থ করার জন্যও তাঁকে স্মরণ করি। তিনি যে-ভারত গড়তে চেয়েছিলেন সেই স্বপ্ন আজও পূর্ণ হয়নি। সেই ভারত গড়ার জন্য কাজ করে যেতে হবে।
মোহন আরও জানান-- সুভাষচন্দ্র বসু প্রথমে কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন। সত্যাগ্রহ করেন, আন্দোলন করেন। কিন্তু পরে তিনি বুঝতে পারেন এসব যথেষ্ট নয়। তখন তিনি স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে সরাসরি সংগ্রামে নামেন। আমাদেরও (আরএসএসের) লক্ষ্য একই।
যদিও গতকালই এক বিবৃতিতে নেতাজিকন্যা অনিতা বসু পাফ পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন, নেতাজির আদর্শের সঙ্গে আরএসএসের মতাদর্শের কোনো মিলই নেই। আরএসএস একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন, আর নেতাজি ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করতেন।