চড়া তেলের দামে হড়কাচ্ছে টাকা, বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি
ডলার পিছু টাকার পতন অব্যাহত। পতনের ফের নয়া রেকর্ড তৈরি করল ভারতীয় মুদ্রা। মঙ্গলবার সকালে বাজার খুলতেই ১৬ পয়সা পড়ে ৭১.৩৭ টাকায় পৌঁছয় ডলার প্রতি টাকার দর।
বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার কোনও লক্ষণ নেই। ব্যারেল পিছু ব্রেন্ট অশোধিত তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৮.০৫ ডলার। অগস্টের ১৫ তারিখে যেখানে তেলের দাম ছিল ৭০.৭৬ ডলার। জ্বালানির তেলের দরে এই ক্রমবৃদ্ধির ফলে প্রভাব পড়ছে ভারতীয় মুদ্রার ওপরে।
উল্লেখ্য, ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেলের উত্স ইরানের থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করতে অত্যন্ত ভেবেচিন্তে পা ফেলতে হচ্ছে নয়া দিল্লিকে। ইরানের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পর দোটানায় ভারত।
এক দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি, নভেম্বরের মধ্যে ইরান থেকে তেল আমদানি করা বন্ধ না করলে শাস্তির মুখে পড়তে পারে ভারত। অন্য দিকে ভারতের স্বার্থ বুঝে ইরানও চাপ সৃষ্টি করে চলেছে।
বেশি ডলার খরচ করে তেল আমদানি করায় রাজকোষে ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ডলারের দাম ক্রমশ্য বৃদ্ধি পেলে আগামী দিনে এই ঘাটতি কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে কেন্দ্র, সে নিয়েও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কেন্দ্র যদিও জানিয়েছে, টাকার এই পতন সাময়িক। বিশ্ববাজারে মন্দার কারণে টাকার পতন অব্যাহত। শীঘ্রই এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসবে বলে আশ্বাস দেয় অর্থমন্ত্রক। কিন্তু ধারাবাহিক টাকার পতনে এই আশ্বাসে চিড়ে ভিজবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই মুহূর্তে এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল টাকার মূল্য। তেল আমদানির খরচ বৃদ্ধি পেলে, মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা থাকছে। যার জেরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির ব্যাঘাতও ঘটতে পারে।
সূত্রের খবর, মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সুদের হার বাড়ানোর পথে হাঁটতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যার জেরে শিল্পের ঋণের খরচ বাড়বে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।