গাড়ি, বাড়ি, দামি ঘড়ির মোহ নেই! গরীবের পেট ভরিয়ে মনের সুখে বাঁচেন সাদিও মানে
তাঁর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। সেই ছবিতে তাঁকে একখানা ভাঙা স্ক্রিন-এর মোবাইল হাতে দেখা যাচ্ছে। বছরে ১২ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় তাঁর। সেই তিনিই কি না ঘুরছেন ভাঙা স্ক্রিন-এর মোবাইল ফোন হাতে! কিন্তু তাঁর এমন আড়ম্বরহীন জীবনযাপনের পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। রয়েছে জীবনাদর্শ।
তাঁর মতো বা তাঁর থেকে বেশি অর্থ উপার্জন করা ফুটবলারের অভাব নেই এখন। কিন্তু অধিকাংশ ফুটবলারই বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। দামি গাড়ি, বাড়ি ও মূল্যবান ঘড়ি কেনাটা তাঁদের কাছে শখ হয়ে দাঁড়ায়। লিভারপুল-এর স্ট্রাইকার সাদিও মানে একটু আলাদা তাঁদের থেকে। বলতে পারেন, তাঁর ভাবনা-চিন্তা মূল্যবোধ, আদর্শ তাঁকে আলাদা করে দিয়েছে সবার থেকে।
ভোগবিলাসী জীবনের চাহিদা তাঁর নেই। সাদিও মানে বলেন, ''দশটি ফেরারি গাড়ি, ২০টি ডায়মণ্ড ঘড়ি আর বিলাসবহুল বাড়ি, এসব বিলাস সামগ্রী দিয়ে কী হবে! এগুলো শুধু বৈষয়িক অবজেক্ট। এর বেশি আর কিছুই নয়!''
সাদিও মনে করেন, ''বিলাস বহুল বাড়ির পরিবর্তে অসংখ্য স্কুল তৈরি করেছি আমি। দামি পোষাকে ওয়্যারড্রব না সাজিয়ে অসংখ্য বস্ত্রহীন মানুষকে বস্ত্র দিয়েছি। নিজে দামি গাড়ি চালানোর পরিবর্তে অগণিত স্কুল ছাত্র ছাত্রীকে স্কুল বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রতি সপ্তাহে দামি রেস্টুরেন্টে না খেয়ে হাজার হাজার ক্ষুধার্ত শিশুর খাবারের ব্যবস্থা করেছি। এতেই আমার শান্তি। এক সময় ফুটবল খেলতে পারব না। তখন বার্ধক্য আসবে। মৃত্যু হবে। এইসব মানুষদের মধ্যে আমি বেঁচে থাকব।''
সাদিও মানে আরও বলেন, ''আমি বেশিদূর পড়াশোনা শেখার সুযোগ পাইনি। তাই হয়তো শিক্ষার গুরুত্ব বুঝি। দরিদ্র ছিলাম। তাই হয়তো জীবনের আসল অর্থ বুঝেছি। ফুটবলের জন্য আজ এখানে এসেছি। এত মানুষকে সাহায্য করতে পারছি। এটা আমার কর্তব্য।''