SAvsIND: ছবিতে দেখুন, টেস্টে Mohammed Shami-র সেরা পারফরম্যান্স

Wed, 29 Dec 2021-3:01 pm,

২০১৮ সালে পারথের সেই টেস্টে ভারত ১৪৬ রানে হেরে গেলেও সবাই এখনও শামির আগুনে বোলিং মনে রেখেছেন। প্রথম ইনিংসে কোনও উইকেট না পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন 'সহেসপুর এক্সপ্রেস'। টেস্টে কেরিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স করে নিয়েছিলেন ৫৬ রানে ৬ উইকেট। অ্যারন ফিঞ্চ, উসমান খোয়াজাদের একাই বুঝে নিয়েছিলেন শামি। 

জোহানেসবার্গে বরাবরই ভারতীয় বোলাররা ভাল পারফরম্যান্স করেন। গত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন 'সহেসপুর এক্সপ্রেস'। ২০১৭-১৮ মরশুমে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংস বুমরার নামে লেখা থাকলে, দ্বিতীয় ইনিংসের 'হিরো' ছিলেন শামি। বিরাট কোহলি ও অজিঙ্কা রাহানের লড়াকু ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৭ রান তোলে ভারত। ফলে প্রোটিয়াসদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪১ রানের। তবে শামির আগুন ঝরানো বোলিংয়ের জন্য মাত্র ১৭৭ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শামি নিয়েছিলেন ২৮ রানে ৫ উইকেট। ভারত সেই টেস্ট ৬৩ রানে জিতে যায়। 

২০১৯ সালে এই মাঠে প্রোটিয়াস ব্যাটাররা তাঁর ঘাতক শর্ট বল ও রিভার্স সুইংয়ের কাছে আতঙ্কিত হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে উইকেট না পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর দাপটে প্রোটিয়াসদের ব্যাটিং তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। ময়ঙ্ক আগরওয়ালের ২১৫ ও রোহিত শর্মার ১৭৬ রানের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৫০২ (ডিক্লেয়ার) তোলে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস ৪৩১ রানে শেষ হয়ে যায়। ফলে ৭১ রানে এগিয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে রোহিত ফের ১২৭ রান করেন। ফলে ৪ উইকেটে ৩২৩ রান (ডিক্লেয়ার) তুলে প্রোটিয়াসদের ৩৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল কোহলির দল। তবে শামির পেসের ধাক্কায় ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় ফ্যাফ ডু প্লেসিসদের ইনিংস। ৩৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন শামি। সেই সুবাদে ২০৩ রানে প্রথম টেস্ট জিতে যায় ভারতীয় দল। 

ভারতের তৃতীয় জোরে বোলার হিসেবে ২০০টি টেস্ট উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন শামি। চলতি সেঞ্চুরিয়ান টেস্টে ৪৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে এই নজির গড়লেন 'সহেসপুর এক্সপ্রেস'। ৩১ বছরের শামি ৫৫তম টেস্টে এই নজির গড়লেন। কপিল দেব অবশ্য ৫০তম ম্যাচে ২০০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছিলেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বিশ্রাম নিয়েছিলেন শামি। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও তাঁকে খেলতে দেখা যায়নি। তবে ফের একবার লাল বল হাতে পেতেই বাইশ গজে আগুন ঝরালেন এই পেসার। মূলত তাঁর দাপটেই ১৯৭ রানে গুটিয়ে গেল প্রোটিয়াসদের প্রথম ইনিংস। 

২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচেই বাজিমাত করেছিলেন শামি। অভিষেক ম্যাচ এমনিতেই স্পেশ্যাল। এর মধ্যে আবার বল হাতে নেওয়ার পর তাঁর সামনে ছিল ইডেন গার্ডেন্সের অতি পরিচিতি বাইশ গজ। প্রথম ইনিংসে ৭১ রানে উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন ৪৭ রানে ৫ উইকেট। ইডেনের ঘাসে ভরা উইকেটে পেস ও সুইংয়ে ক্যারিবিয়ানদের বিদ্ধ করার পর, প্রথম ম্যাচেই দেখিয়েছিলেন রিভার্স সুইংয়ের নমুনা। সেটা আবার ছিল সচিন তেন্ডুলকরের ১৯৯তম টেস্ট ম্যাচ। তাই দুই ইনিংসে ১১৮ রানে ৯ উইকেট নেওয়ার পর পেয়েছিলেন 'মাস্টার ব্লাস্টার'এর শুভেচ্ছা। 

২০১৫ সালের সেই টেস্ট ড্র হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে ৫৭২ (ডিক্লেয়ার) তুললেও, শামি নিয়েছিলেন ১১২ রানে ৫ উইকেট। শেন ওয়াটসন, শন মার্সের মতো ব্যাটারদের ফিরিয়েছিলেন তিনি। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link