লুকিয়ে বিয়ে, জুনে বাড়িতে জানালেও জামাইকেই চেনে না পরিবার! চিকিত্সক মানসীর মৃত্যু-রহস্য ল্যাপটপে
প্রথমদিকে বাড়িতে জানাননি, জুন মাসে বাড়িতে লুকিয়ে বিয়ে করার কথা জানিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিত্সক মানসী মণ্ডল।আহমেদ ডেন্টাল কলেজের স্নাতকোত্তর স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। বাড়ি পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে। বৃহস্পতিবার হোস্টেলের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কেন বিয়ের কথা লুকিয়ে রেখেছেন, তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে।
মানসীর পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের বাড়িতে গিয়ে জানা গেল, তাঁর স্বামী কে বা কী করেন, তা নিয়ে বিন্দু-বিসর্গ জানেন না বাবা-মা। পরিবারের দাবি, শুধু ‘বিয়ে করেছি’ এই কথাটাই জানিয়েছিলেন মানসী। আর এটা নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কেন পরিবারের সদস্যরা মানসীর স্বামীর ব্যাপারে কিছু জানেন না, বা কিছু বলতে চাইলেন না।
রঘুনাথপুরে মানসীর বাড়িতে এখন শুধুই হাহাকার। মা ক্ষণে ক্ষণে জ্ঞান হারাচ্ছেন। পেশায় স্কুলশিক্ষক বাবা বুঝেই উঠতে পারছেন না এত উজ্জ্বল একটা ভবিষ্যত যার ছিল, সে কীভাবে নিজেকে শেষ করে দিল! ভাইবোনরাও হতবাক।
পরিবারের সঙ্গে মানসীর শেষ কথা ছিল, “জ্বর-কাশি হয়েছে। ঠিক হয়ে যাবে।” কিন্তু তখনও আঁচ করতে পারেননি বাবা-মা কিছুই।
মানসী তাঁর বন্ধুদের জানিয়েছিলেন, স্বামী বেঙ্গালুরুতে কর্মরত। করোনা-আবহে লকডাউনের কারণে স্বামীর সঙ্গে প্রায় চার মাস তাঁর দেখা হয়নি। জীবনের প্রতি আসক্তি হারিয়ে ফেলছেন তিনি। কিন্তু প্রাণবন্ত একটা মেয়ে কীভাবে আসক্তি হারাতে পারে চার মাসের ব্যবধানে?
পরিবারের দাবি, “ওর ফোন আর ল্যাপটপে হয়তো কোন রহস্য লুকিয়ে আছে।” রহস্য লুকিয়ে থাকতে পারে বৈবাহিক সম্পর্কেও, যা নিয়ে পরিবার বিশেষ কিছুই জানেন না বা জানালেন। আপাতত তদন্ত চলছে।