যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে যেসব স্বঘোষিত ‘গুরু’-র নাম
দেশে স্বঘোষিত গুরুদের বারেবারেই যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। আসারামের আগে স্বামী নিত্যানন্দ থেকে শুরু করে গুরমিত রাম রহিম সিং। গুরুদের কেচ্ছায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশজুড়ে।
২০১৩ সালে যোধপুরে নিজের আশ্রমে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত স্বঘোষিত গুরু আসারাম। শুধু তাই নয় সুরাতের দুই বোনও আসারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও জোর করে আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন।
গুরুমিত রাম রহিম সিংয়ের গ্রেফতারিকে ঘিরে গতবছর তোলপাড় হল উত্তরভারত। রাম রহিমের বিরুদ্ধে ২ মহিলাকে ধর্ষণ, এক সাংবাদিক সহ ২ জনকে খুন ও ৪০০ ভক্তকে জোর করে নির্বীজ করার অভিযোগ রয়েছে।
যৌন নির্যাতনের মামলায় অভিযুক্ত স্বঘোষিত গুরু স্বামী নিত্যানন্দ। ২০০৯ সালে ওঠা ওই অভিযোগ নিয়ে এখনও মামলা চলছে। তার শিশ্য আরতি রাও অভিযোগ করেন, তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন নিত্যানন্দ স্বামী।
আসারামের ছেলে নারায়ণ সাঁইও নিজেকে গুরু বলে দাবি করেন। সুরাটের এক মহিলা অভিযোগ করে ২০০২-২০০৫ সালের মধ্যে নারায়ণ তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ওই মামলা ২০১৩ সাল তার জেল হয়।
রাধে মা-র প্রভাবে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর উপরে অত্যাচার করছেন বলে এক মহিলা অভিযোগ আনার পর গ্রেফতার করা হয় গুরু রাধে মা-কে। এছাড়াও রাধে মা-র বিরুদ্ধে সেক্সচুয়াল র্যাকেট চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
একাধিক যৌন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে যোগগুরু বিক্রম চৌধুরীর। তার নিজের আইনজীবীই তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। এর জন্য বিক্রম চৌধুরীকে ৬০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।
১৩ জন মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল স্বামী প্রেমানন্দের বিরুদ্ধে। পরে তা প্রমাণিতও হয়। ১৯৯৭ সালে তাক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। ২০১১ সালে তার মৃত্যু হয়।