Puri: `আমি এখন কী করব, ছেলে ছাড়া কী করে থাকব!` অঝোরে কান্না মায়ের
বিধান সরকার: স্নান করতে নেমে পুরীতে তলিয়ে গেল ২ বন্ধু। এর আগে দুই বন্ধু মিলে আটবার পুরী বেড়াতে গিয়েছেন। কিন্তু এবার গিয়ে আর ফেরা হল না।
৩ তারিখ বেরিয়ে পরদিন পুরীর হোটেলে পৌঁছেই ফোন করে অরিন্দম মাকে বলেছিলেন ভালোভাবে পৌঁছে গিয়েছি। ভিডিয়ো কলে ঘরের ছবিও দেখিয়েছিলেন। সেই শেষ কথা। বিকালেই শ্রীরামপুরের বাড়িতে আসে ছেলের মৃত্যুসংবাদ। শোকস্তব্ধ পরিবার।
শ্রীরামপুর বঙ্গ লক্ষ্মী বাইলেন এলাকার বাসিন্দা অজয় দাস ও অরিন্দম দাস। তাঁরা মোট ৬ বন্ধু একসঙ্গে পুরী বেড়াতে গিয়েছিলেন। দুপুরে স্নান করতে সমুদ্রে নামেন সবাই। কিন্তু ৪ জন উঠে এলেও, অজয় আর অরিন্দম তলিয়ে যায়। অজয়ের দাদা সুভাষ বলেন,ভাই টোটো চালাত। সময় পেলে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যেত। এর আগে আট বার পুরী গিয়েছিল ওরা। এবার যে কী হল!
ওদিকে অরিন্দম ইনসিউরেন্স এজেন্টের কাজ করতেন। মা সুদীপ্তা দাস বলেন, 'ছেলে হোটেলে ঢুকে ফোন করে বলল মা ভালো হোটেল পেয়েছি। ২১০০ টাকা ভাড়া। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি। রান্নাবান্না করেছে। ১২টার পর হয়ত স্নান করতে জলে নেমেছে। ৫টার পর থানা থেকে ফোন করে বলল, আপনার ছেলে মারা গিয়েছে। আমি এখন কী করব! ছেলে ছাড়া কী করে থাকব!'
প্রসঙ্গত দুদিন আগেই পুরীর সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে মৃত্যু হয় বাবা-ছেলের। প্রাণ হারান শিবপুরের ১ নম্বর আচার্য লেনের বাসিন্দা রঞ্জন দাস ও তাঁর ছেলে ঋষভ দাস। পুরীর স্বর্গদ্বারের কাছে সেক্টর-১৩ এলাকায় সমুদ্র স্নান করতে নেমেছিলেন। আচমকা বড় ঢেউয়ের ধাক্কায় তলিয়ে যান। উদ্ধারে কিছুটা সময় লাগে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, বাবা ও ছেলেকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।