ভয়ংকর স্রোতের প্লাবনে শিউরে উঠছে জনপদ! ফুঁসছে নদী, বইছে কাদাস্রোত, বাড়ছে মৃত্যু...
ভয় পাইয়ে দেওয়ার মতো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মান্ডির একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, বাড়িঘরের মধ্যে দিয়ে চলে গিয়েছে একটি রাস্তা। সেই রাস্তার দুধারে রয়েছে দোকান, রেস্টুরেন্ট। গোটা রাস্তাটা ভেসে যাচ্ছে হড়পা বানে। শোনা যাচ্ছে আতঙ্কিত মানুষের চিৎকার।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, হিমাচলের ৭৬৫টি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চণ্ডীগড়-মান্ডি জাতীয় সড়ক। পর্যটক-সহ বহু মানুষ আটকে পড়েছেন লাহুল, স্পিতি, সোলাং ভ্যালি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যে ২০টি বড় ধস ও ১৭টি হড়পা বানের ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। তিরিশটি বড় বাড়ি ভেঙে পড়েছে। শতদ্রু-বিপাশা-ঝিলম-সহ সেখানকার অধিকাংশ নদী ফুঁসছে।
উত্তর ভারতের বড় বড় শহরগুলিতে ভারী বৃষ্টির ফলে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে, বাড়ছে মৃত্যু। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিচ্ছিন্ন হয়েছে সড়ক।
দিল্লিতে গত ৪১ বছরে এমন বৃষ্টি হয়নি! সেখানে বাড়ি ভেঙে পড়েছে, গাছ উপড়ে গিয়েছে, জলে ডুবে গিয়েছে আবাসন-রাস্তাঘাট।
কূটনীতিজ্ঞদের বসবাস যেসব প্রেস্টিজিয়াস আবাসনে, সেখানেও নেমে এসেছে বিপর্যয়ের ছায়া। চাণক্যপুরী, কাকা নগর, ভারতী নগর-সহ এরকম এলাকাগুলিও জলমগ্ন।
উত্তর ভারতের এই ভয়াবহ দুর্যোগের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে অমরনাথ যাত্রাও। টানা তিন দিন যাত্রা বন্ধ।