সন্ত্রাসবাদী ভাই মারা গিয়েছিল ভারতীয় সেনার গুলিতে! আফ্রিদির ভারত-বিদ্বেষ কি সে জন্যই?
২০১৬ সালে ভারতে খেলতে এসে শাহিদ আফ্রিদি বলেছিলেন, এই দেশ থেকে তিনি যে ভালবাসা ও সম্মান পান তা আর কোনও দেশ থেকে পান না। ভারতের প্রতি আনুগত্য ও ভালবাসা জাহির করেছিলেন পাকিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার। কিন্তু সেই ভালবাসা এখন কোথায়! শাহিদ আফ্রিদির সাম্প্রতিক ভারত-বিদ্বেষের কারণ কী? কেন তিনি বারবার কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন!
গত বছর নভেম্বরে আফ্রিদি বলেছিলেন, ''আমাদের কাশ্মীর চাই না। পাকিস্তান নিজের চারটি অঞ্চলই সামলাতে পারে না।'' কিন্তু এখন তিনি সম্পূর্ণ উল্টো বিবৃতি দিয়ে চলেছেন। আরও একবার কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন আফ্রিদি। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে এবং কাশ্মীরে সমস্ত বিশেষ সুবিধা বাতিল করার পর থেকে আফ্রিদির মতো একাধিক পাক তারকাই আসরে নেমেছেন। ভারত ও কাশ্মীর নিয়ে একের পর এখ মন্তব্য করে চলেছেন তাঁরা।
২০০৩ সালে কাশ্মীরের অনন্তনাগে বিএসএফের গুলিতে শাকিব নামের এক সন্ত্রাসবাদী মারা পড়েছিল। পরে জানা যায়, সেই শাকিব আসলে পাক তারকা শাহিদ আফ্রিদির ভাই। দুই বছর ধরে অনন্তনাগে সক্রিয় ছিল শাকিব। আফ্রিদির সঙ্গে সম্পর্কের ফায়দা নিয়ে সে স্থানীয় লোকেদের উপর প্রভাব বিস্তার করত বলেও জানতে পেরেছিল ভারতীয় সেনা।
পরবর্তীকালে এক সাক্ষাত্কারে আফ্রিদিকে শাকিবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। আফ্রিদির জবাব ছিল, তাঁর পাঠান বংশ অনেক বড়। ফলে শাকিব তাঁর কেমন ভাই সেটা নাকি তিনি জানেন না। যদিও সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি। ভাইয়ের মৃত্যুর জন্যই কি ভারতের প্রতি আফ্রিদির এমন বিদ্বেষ! প্রশ্ন উঠছে।
কাশ্মীর প্রসঙ্গে এবার আফ্রিদি বলেছেন, ''এই অন্যায়-অবিচার মেনে নেওয়া যায় না। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বর্বরতার পক্ষে নেই অধিকাংশ ভারতীয়। কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সবাইকে চেষ্টা করতে হবে। এই অন্যায় ও অত্যাচার থেকে কাশ্মীরবাসী খুব তাড়াতাড়ি নিস্তার পাবে বলে আশা রাখি। কাশ্মীর সমস্যআর সমাধানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি এবং সম্মান জানাই।''