Shane Warne Passes Away: যৌন কেলেঙ্কারি থেকে বেটিং বিতর্ক, নানা রূপে ক্রিকেটের `দিয়েগো মারাদোনা`
১৯৯৪ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে শেন ওয়ার্ন ও মার্ক ওয়া দু'জনের বিরুদ্ধেই পিচ ও আবহাওয়া সংক্রান্ত বেটিংয়ে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে৷ সেই সময় সাময়িক শাস্তির মুখেও পড়তে হয়েছিল এই দুই ক্রিকেটারকে।
২০০০ সালে ডোনা রাইট নামক এক ব্রিটিশ নার্স সরাসরি অভিযোগ করেন যে ওয়ার্ন তাঁকে অনেকদিন ধরে যৌন উস্কানিমূলক নোংরা মেসেজ পাঠাচ্ছেন। পরে তিনি নিজে এই বিষয়টি স্বীকার করে নেন। এর ফলে অস্ট্রেলিয়ার সহ অধিনায়কের পদ থেকে সরতে হয় ওয়ার্নকে। সেই নার্সকে 'ফোরসাম' যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার আমন্ত্রণ দিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন ওয়ার্ন। এই কাণ্ডে কেভিন পিটারসেনেরও নাম জড়িয়েছিল।
একাধিক নারী এবং পর্নস্টারদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় ২০০৭ সালে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে শেন ওয়ার্নের৷ এরপর এক ব্রিটিশ অভিনেত্রী লিজ হারলিয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান শেন। তবে এক পর্নস্টারের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ সামনে এলে সেই সম্পর্কও স্থায়ী হয়নি। ব্রিটিশ নার্স লৌড়া স্যায়েরসের ব্যাপারটা সিমোন জানলেও সন্তানদের কথা ভেবে সব সহ্য করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২০০৭ সালে দুজনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
ড্রাগ নেওয়ার কারণে ২০০৩ বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি এই কিংবদন্তী স্পিনার৷ ওয়ার্ন সেই সময় ড্রাগ টেস্টে ফেল করেন। এবং নিজেই স্বীকার করেন তিনি নিষিদ্ধ ড্রাগ নিয়েছেন। এই সময় তাঁর কেরিয়ার প্রায় শেষ হতে বসেছিল। তিনি এক বছরের জন্য নির্বাসিতও হন। যদিও এই সময়টা তিনি ক্রিকেট কমেন্ট্রি করতেন।
একাধিক নারী এবল পর্ন সিনেমার অভিনেত্রীদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় একসময় ২০০৭ সালে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাব বিচ্ছেদ ঘটে ওয়ার্নের। এরপর এক ব্রিটিশ অভিনেত্রী এলিজাবেথ হার্লের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ওয়ার্ন, তবে প্রায় একই কারণে এ সম্পর্কও স্থায়ী হয়নি। এখানেই শেষ নয়। ২০০৩ সালে আবারও যৌন কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যান ওয়ার্ন। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন মেলবোর্নের এক স্ট্রিপার, নাম অ্যাঞ্জেলা গালাগার। তিনি দাবি করেন, ওয়ার্নের সঙ্গে মাস তিনেকের 'অস্বস্তিকর সম্পর্ক' ছিল তাঁর। তবে এখন পর্যন্ত ওয়ার্নের জীবনের সবচেয়ে বড় যৌন কেলেঙ্কারিটি চাউর হয় ২০০৬ সালে। হ্যাম্পশায়ারের অধিনায়ক থাকাকালীন ২৫ বছর বয়সি দুজন ব্রিটিশ মডেলের সঙ্গে তার যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার ভিডিও ফাঁস হয়।
শেন ওয়ার্নের সবচেয়ে বড় অ্যাফেয়ার ব্রিটিশ অভিনেত্রী এলিজাবেথ হার্লের সঙ্গে ছিল। শেন ওয়ার্ন আর এই ব্রিটিশ অভিনেত্রীর মধ্যে অ্যাফেয়ার দীর্ঘ সময় ধরে চলে। এলিজাবেথ হার্ল আর শেন ওয়ার্ন একে অপরের কাছাকাছি আসেন ২০১০ এ আর তাদের মধ্যে একটি কিসিং সিন সবচেয়ে বেশি শিরোনাম দখল করে নিয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা অধিনায়ক স্টিভ ওয়ার সঙ্গে খুবই খারাপ সম্পর্ক ছিল শেন ওয়ার্নের। এমনকি ১৯৯৯ এর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ার্ন বাদ পড়ার পর এই আরও বাড়ে। ২০১৬ সালে একটি সাক্ষাৎকারে স্টিভ ওয়াকে সবচেয়ে 'স্বার্থপর' খেলোয়াড় বলেছিলেন ওয়ার্ন।
২০১৭ সালে একটি ব্রিটিশ নাইটক্লাবে একজন পর্নস্টার ভেলেরিয়া ফক্সের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ান শেন। এমনকি অভিযোগ এই মহিলাকে সবার সামনে গালিগালাজও করেন ওয়ার্ন।
নিকোরত্তি নামের একটি ব্র্যান্ড যারা সিগারেট ছাড়ানোর দাবি করে। এদের বিজ্ঞাপনের চুক্তিতে থাকার সময় সিগারেট না খাওয়ার চুক্তি থাকলেও সেই চুক্তি ভেঙে ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে সিগারেট খান শেন ওয়ার্ন এবং সেই ছবিটি সামনে এলে বিতর্ক তৈরি হয়।
আত্মজীবনীতে মাইকেল ক্লার্কের প্রবল সমালোচনা করেছিলেন রিকি পন্টিং। যদিও পন্টিংয়ের দাবিকে নাকচ করে দেন ওয়ার্ন। বরং ক্লার্কের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি উল্টে পন্টিংয়ের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রবল সমালোচনা করেন স্পিন লেজেন্ড। পন্টিংয়ের নেতৃত্বে তিনটি অ্যাশেজ সিরিজ হারে অস্ট্রেলিয়া। সেই হারের স্মৃতিকে তুলে ধরে পন্টিংকে 'দুর্বল' অধিনায়ক বলে আখ্যা দিয়েছিলেন ওয়ার্ন।