জন্মের আগেই নিজের মা-ই শেষ করে ফেলতে চেয়েছিলেন শশী কাপুরকে
জাতীয় পুরস্কার, দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, পদ্মভূষণ থেকে দুটি ফিল্মফেয়ার, লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড সবকিছুই রয়েছে ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের কিংবদন্তি পুরুষ শশী কাপুরের ঝুলিতে।
তবে শুধু অভিনেতা হিসাবেই নয়, পরিচালক, সহ পরিচালক, প্রযোজক হিসাবেও কাজ করেছেন শশী কাপুর। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ১৭৫টি ছবি।
দীর্ঘ অসুস্থতার পর ২০১৭-র ৫ ডিসেম্বর ৭৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শশী কাপুর। (ছবিতে রাজ কাপুরের স্ত্রী কৃষ্ণারাজ কাপুরের সঙ্গে শশী কাপুর)
১৯৯৫ সালে এক সাক্ষাৎকারে তাঁর জীবনের বেশকিছু অজানা কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন শশী কাপুর। জানিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন তাঁর মা রামসারণী মেহরা কাপুরের অযাচিত সন্তান। জন্মের আগেই শশীকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন তাঁর মা।
সাক্ষাৎকারে শশী কাপুর বলেছিলেন, ''আমার মা আমায় ফ্লুকি (fluky) বলে ডাকতেন। কারণ, আমাকে এই পৃথিবীতে আনার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না তাঁর।''
শশী কাপুর জানান, ''মায়ের আগে থেকে ৪ পুত্র সন্তান ছিল (রাজ কাপুর ও শাম্মী কাপুরের মাঝে দুই ভাই মারা যান) তাই ১৯৩৩-এ তাঁদের কন্যা সন্তান ঊর্মিলা আসার পর খুশি ছিলেন এর ৫ বছর পর ফের সন্তানসম্ভবা হওয়ার খবরে এক্কেবারেই খুশি ছিলেন না মা। তবে সেসময় গর্ভপাত করার সুযোগ সেভাবে ছিল না। তাই সাইকেল চালিয়ে, সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে, কুইনাইন খেয়ে আমায় নষ্ট করে দিতে চেয়েছিলেন। তবে সেটা হয়নি।''
ছেলেবেলায় একবার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন বলেও জানান শশী কাপুর।
শশী কাপুরের কথায়, ম্যাট্রিক পরীক্ষা খারাপ ফল করায় অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তারপর তাঁকে মাথেরানে ছুটি কাটাতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর দেওলালি এলাকার বার্নেস স্কুলে তাঁকে রেখে আসেন দাদা শাম্মী কাপুর।
শশী কাপুরের কথায়, তিনি স্কুল থেকে বাড়িতে চিঠি লিখেছিলে, সেখানকার খাবার ভালো লাগছে না। তাঁকে যদি সেখান থেকে না নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। পরে তাঁর মা-ই শাম্মী কাপুরকে বলেন ভাইকে স্কুল থেকে নিয়ে আসতে।
শশী কাপুর বিয়ে করেছিলেন জেনিফার কেন্ডালকে। তাঁদের তিন সন্তান করণ কাপুর, কুণাল কাপুর ও সঞ্জনা কাপুর।